ছবি: প্রতীকী।
শুধু জল দিয়েই অনেক রোগকে ঠেকিয়ে রাখা যায়। জল না খেলে শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়। সেখান থেকে অনেক সময়ে নানা রকম রোগ দেখা দিতে পারে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে যে দাঁতের সমস্যা হয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে লালারসের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এই লালারসের বেশির ভাগ উপাদানই আসলে জল।
মুখের মধ্যে বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এই লালারস, মুখের ভিতরের অংশ আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। লালারসের মধ্যে এমন কিছু উৎসেচক আছে, যা খাবার হজম করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও, ‘ইমিউনোগ্লোবিউলিন’, ‘লাইসোজাইম’, ‘ল্যাক্টোফেরিন’ নামক কিছু ‘অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল’ যৌগ রয়েছে, যা ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস এবং বিভিন্ন মাইক্রোঅর্গ্যানিজ়মের সঙ্গে ক্রমাগত লড়াই করে মুখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকেরা মুখের ভিতরের অংশের পিএইচের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য বেশি করে জল খেতে পরামর্শ দেন। এই জল মুখের ভিতর লালারস ক্ষরণের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি, খাবার খাওয়ার পর যদি কোনও সূক্ষ্ম কণা দাঁতের ফাঁকে আটকে গিয়ে থাকে, তা-ও পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
ছবি: প্রতীকী
অম্লত্বের ভারসাম্য বজায় রাখে
মুখের ভিতর বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার জন্য অম্লত্বের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সঠিক পরিমাণে জল খেলে সেই ভারসাম্য খানিকটা নিয়ন্ত্রিত হয়।
দাঁতের ‘এনামেল’ নষ্ট হতে দেয় না
জলের নিজস্ব কোনও স্বাদ নেই। তাই অনেকেই বেশি জল খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু চিনি বা অ্যাসিডযুক্ত কোনও তরল পানীয় খাওয়া মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ধরনের পানীয়গুলি সাধারণত দাঁতের উপরে থাকা এনামেলের আস্তরণকে তাড়াতাড়ি নষ্ট করে দেয়। দাঁত এবং মাড়ির সংযোগস্থলে থাকা স্নায়ুগুলি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। দাঁত শিরশির করতে থাকে। পরবর্তী কালে সেখান থেকেই দাঁত ক্ষয়ে, ভেঙে যেতে পারে। জল কিন্তু দাঁতের এই এনামেল নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে।