দাঁত মাজার ব্রাশ থেকেই বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত
দাঁতে হলুদ ছোপ পড়লেই আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না! সামান্য দাঁতে ব্যথা হলেই দন্ত চিকিৎসকের কাছে দৌড়াই আমরা! দাঁতের যত্নের বিষয়ে সচেতন হলেও, টুথব্রাশ নিয়ে কিন্তু আমরা মোটেই সচেতন নই। অথচ এই দাঁত মাজার ব্রাশ থেকেই বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি।
টুথব্রাশ রাখার ক্ষেত্রে কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলা উচিত?
১) বাথরুমে টুথব্রাশ রাখবেন না। যদিও বা রাখেন, তবে কমোডের ধার-পাশেও নয়। না হলে ব্রাশে ব্যাক্টেরিয়ার বাসা বাঁধার আশঙ্কাও বাড়ে।
২) ব্রাশে ঢাকা পরিয়ে রাখছেন কি? না হলে ব্রাশে জীবাণুর বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। কিন্তু ব্রাশের ঢাকাও মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করতে হবে। না হলে ঢাকা পরিয়ে রেখেও কোনও লাভ হবে না।
প্রতীকী ছবি
৩) বাড়ির সকলের ব্রাশ কি একসঙ্গে রেখে দিচ্ছেন? এই অভ্যাসও কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এতে এক টুথব্রাশ থেকে অন্য ব্রাশে জীবাণু ছড়ায়।
৪) একই ব্রাশ দিনের পর দিন ব্যবহার করাও ঠিক নয়। তিন মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলাই শ্রেয়। দিনের পর দিন একই ব্রাশ ব্যবহার করলে কেবল সংক্রণমের ঝুঁকি বাড়ে না, আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়।
৫) অনেকেই ব্রাশ করার পর ঠিক মতো ধুয়ে রাখেন না। এমনটা করবেন না। ব্রাশ পরিষ্কার রাখা ভীষণ জরুরি। সম্ভব হলে ব্রাশ করার পর গরম জল দিয়ে ধুয়ে রাখুন। এতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।