ছাসের সঙ্গে বিটের মিশিয়ে নিলে কী লাভ হবে? ছবি:ফ্রিপিক।
বিটের রস হোক বা স্যালা়ড— পুষ্টিগুণের জন্য বলিউড অভিনেত্রীদের অনেকেই এই সব্জির অনুরাগী। আলিয়া ভট্ট থেকে করিনা কপূর ডায়েট নিয়ে বলতে গিয়ে বিটের কথা বলেছেন নিজেদের মুখেই।
শুধু রস বা স্যালাড হিসাবে নয়, শীতের মরসুমে সব্জি হিসাবেও খাওয়া হয় বিট। পেট ভাল রাখতে কেউ চুমুক দেন বিটের কাঞ্জিতেও। আবার বিটের সঙ্গে টক দই বা ছাসও খান কেউ কেউ। এতে নাকি বাড়তি উপকার মেলে, বলছেন পুষ্টিবিদ।
আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পূর্ণ বিট। এতে মেলে ভিটামিন বি৯, ম্যাঙ্গানিজ়, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি। ত্বকের পরিচর্যা হোক বা শরীর ভাল রাখা, বিটের গুণের শেষ নেই। তবে মুশকিল হল, এতে থাকা আয়রন নিয়ে। বিটে মেলে নন-হিম আয়রন (যা উদ্ভিজ্জ খাবারে পাওয়া যায়), যা মানব শরীর চট করে শোষণ করতে পারে না।
পুষ্টিবিদ সিভি ঐশ্বর্য বলছেন, ছাসের সঙ্গে বিট খেলে তা আয়রন শোষণে সহায়ক হয়। এ ছাড়াও শরীর ঠান্ডা রাখতে, পেটের স্বাস্থ্য ভাল করতে সাহায্য করে বিটের ছাস।
বিটে রয়েছে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার। পেটের পক্ষে তা অত্যন্ত ভাল। ছাসের সঙ্গে বিট মেলালে, দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে। বিট যুক্ত ছাসের গুণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যেমন কমতে পারে, তেমনই হজমশক্তি বৃদ্ধি পেতেও পারে।
কী ভাবে কাজ করে দুই উপাদান?
পুষ্টিবিদের বক্তব্য, ছাসে থাকে প্রোবায়োটিক এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড। অ্যাসিডিক উপাদানের কারণে বিটে থাকা নন-হিম আয়রন শোষণ শরীরের পক্ষে সহজ হয়ে যায়। এই খনিজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে স্বাস্থ্যে। লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধিতে, রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য করে আয়রন।
হার্টের পক্ষেও ভাল?
বিটে থাকা নাইট্রেট নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়, যা রক্তবাহী নালিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে ছাসের গুণ যুক্ত হলে, তা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল হয়। ছাসের ‘বায়োঅ্যাক্টিভ পেপটাইড’ বিটের সঙ্গে মিলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
এ ছাড়াও ছাস এবং বিট একত্রে লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে, শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বার করতেও কাজে আসে।
কী ভাবে বানাবেন?
টক দইয়ের সঙ্গে কয়েক টুকরো বিট, সামান্য আদা কুচি মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তার সঙ্গে যোগ করুন সৈন্ধব নুন, এবং ভাজা জিরে গুঁড়ো। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে বিটের ছাস।