ডাল রান্নার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
মাছ, মাংস, কালিয়া— ভূরিভোজে যত রকম স্বাদের খাবারই থাক না কেন, এক বাটি ডাল না হলে ঠিক চলে না। বানানোর ঝক্কিও কম। ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উপাদানও রয়েছ ডালে। স্বাদের পাশাপাশি শরীরেরও যত্ন নেয় ডাল। নিয়মিত ডাল খেলে কমে হৃদ্রোগের ঝুঁকিও। তাই মুগ কিংবা মুসুর, পাতে যে ডালই রাখুন না কেন, শরীর-স্বাস্থ্যের উন্নতি হবেই। তবে শুধু ডাল খেলেই হবে না। রান্নাও করতে হবে নিয়ম মেনে।
ডাল রান্নার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল রান্নার আগে ডাল ভিজিয়ে রাখা। কিন্তু অনেকেই তা করেন না। ডাল না ভিজিয়ে অনেকেই রান্না করেন। এতে কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয়। হতে পারে হজমের গোলমাল। কিন্তু ডাল ভিজিয়ে রাখলে সেই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ডাল ভিজিয়ে রেখে রান্না করলে তা হজমশক্তি বাড়ায়। ডালে থাকা লেনটিস ও ফাইটেটস নামের উপাদান, যা মূলত গ্যাস-অম্বলের নেপথ্যকারণ। রান্নার আগে যদি ডাল ভিজিয়ে রাখা যায়, তা হলে এই উপাদানগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
ডালের বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। সব ডাল ভিজিয়ে রাখার মেয়াদ একই নয়। কোন ডাল কত সময় ধরে ভেজালে মিলবে বাড়তি উপকার?
সব ডাল ভিজিয়ে রাখার মেয়াদ একই নয়। ছবি: সংগৃহীত।
মুগ ডাল
বাড়িতে অতিথি এসেছে। মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল রাঁধবেন। তাড়াহুড়ো করে ডাল ধুয়েই রান্না চাপিয়ে দিলে কিন্তু হবে না। মুগ ডাল এমনিতেই গ্যাস-অম্বলের কারণ। তাই আরও বেশি করে ভিজিয়ে রাখা জরুরি। মুগ ডাল ৪-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতেই হবে।
সবুজ মুগ ডাল
হলুদ মুগ ডালের চেয়ে সবুজটা বেশি ভারী। ফলে অনেক ক্ষণ ভিজিয়ে না রাখলে গ্যাস হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু তা ঠিক কত ক্ষণ, সে কথা বুঝতে পারেন না অনেকেই। সবুজ মুগ ডাল রান্নার আগে ৬-৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা জরুরি।
ছোলার ডাল
অনেকেরই এই ডাল খেলে গ্যাস হয়। ছোলার ডাল খেলেই পেট ভার, বদহজমের মতো সমস্যা হতেই থাকে। তাই পুষ্টিবিদরা জানান, ছোলার ডাল খেয়ে গ্যাসের ঝুঁকি কমাতে ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতেই হবে।
মুসুরির ডাল
মুগ এবং ছোলার চেয়ে তুলনায় হালকা এবং সহজপাচ্য হল মুসুর ডাল। না ভিজিয়ে রেখে যদি শুধু ধুয়েও রান্না করা হয়, তাতেও শরীরের উপর বিশাল ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না। তবে মুসুর ডাল ১ ঘণ্টা হলেও ভিজিয়ে রাখা জরুরি।