অ্যাসিড দিয়ে ত্বকের যত্ন? ছবি- সংগৃহীত
বছর শেষ এবং বর্ষবরণের রাতের উদ্যাপনে মানানসই পোশাক পরার ইচ্ছা থাকলেও বাধ সাধছে শুষ্ক ত্বক। এই মরসুমে শুষ্ক ত্বককে রেশমের মতো মসৃণ রাখা কিন্তু বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এমনিতেই বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম। তার উপর ঠান্ডায় জল খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। ফলে শরীরেও জলের ঘাটতি দেখা দেয়। এই সময় ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নানা রকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। সাধারণ ময়েশ্চারাইজার, শীতের বিশেষ ক্রিম কোনও কিছুতেই ফল মেলে না।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে হায়ালুরনিক অ্যাসিড বা হায়ালুরনান। যা শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়। ত্বকে জল ধরে রাখতে এই অ্যাসিডের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তাই একে ত্বকের হাইড্রেটরও বলা হয়। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক এই অ্যাসিডের পরিমাণ কমতে থাকলে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।
ত্বকের আর কোন কোন সমস্যায় ব্যবহার করা যায় হায়ালুরনিক অ্যাসিড?
ত্বকের জৌলুস ফিরিয়ে আনে
শুষ্ক খসখসে নিষ্প্রাণ ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনতে পারে হায়লুরনিক অ্যাসিড। চটজলদি ত্বকে জেল্লা ফিরিয়ে আনতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই অ্যাসিড। বছর শেষের পার্টিতে তৎক্ষণাৎ ত্বককে চকচকে করে তুলতে ভরসা রাখুন হায়ালুরনিক অ্যাসিডের উপর।
ক্ষত নিরাময়ে
ত্বকে কোনও রকম ক্ষত সৃষ্টি হলে তা চট করে নিরাময় করতে পারে এই অ্যাসিড। কারণ ক্ষতস্থানে দ্রুত নতুন কোষ তৈরি করতে এবং ক্ষতের দাগ দূর করতেও হায়ালুরনিক অ্যাসিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে
মানবদেহে যতটা হায়লোরনিক অ্যাসিড থাকে, তার অর্ধেকই থাকে মুখের মধ্যে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অ্যাডিসের পরিমাণ কমতে থাকলে তার ছাপ সবচেয়ে আগে মুখে এসে পড়ে। খুব বেশি ক্ষণ রোদে থাকলেও মুখে প্রাকৃতিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যেতে পারে। ফলে মুখে বলিরেখা, দাগ, ছোপ, ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। হায়ালুরনিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম ব্যবহার করলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।