কী ভাবে বোঝা যাবে, ওষুধ আসল না নকল? ছবি: ফ্রিপিক।
রোজের ব্যবহারের প্রায় শতাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, প্যারাসিটামল, সেট্রিজ়িন বা কিছু ভিটামিনের ‘ককটেল’ বা মিশ্র ওষুধ নিষিদ্ধ হতে চলেছে। এই ধরনের ওষুধগুলিকে বলা হয় ‘ফিক্সড ডোজ় কম্বিনেশন’। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এগুলি খেলে শরীরে জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়বে। তা ছাড়া বাজারে আরও এমন অনেক ওষুধ আছে, যেগুলি কেন্দ্রের অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়। ভুয়ো ওষুধও মিশে রয়েছে তারই মধ্যে। এর আগে বহু বার জাল ওষুধচক্র ধরা পড়েছে। তাই এ বার কেন্দ্রের তরফে উদ্যোগ নিয়ে আসল ও নকল ওষুধ চেনার উপায় সামনে আনার চেষ্টা হচ্ছে।
এ বার থেকে ওষুধের দোকান বা অনলাইনে যে ওষুধই কিনুন না কেন, তার সমস্ত তথ্য স্ক্যান করলেই পাওয়া যাবে। ওষুধ চিনতে কিউআর কোড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যদিও এর আগে অনেক বারই কিউআর কোড চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন যে ভাবে জাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে বাজারে, তাতে দ্রুত কিউআর কোড নিয়ে আসার ভাবনাই রয়েছে সরকারের।
কী ভাবে কাজ করবে কিউআর কোড?
ওষুধের শিশি বা বাক্সের গায়ে কিউআর কোড থাকবে। সেটি মোবাইল বা অন্য কোনও ডিভাইসে স্ক্যান করলেই, ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম, ওষুধটি কবে তৈরি হয়েছে, তার ব্যাচ নম্বর কত, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার সময়, লাইসেন্স নম্বর— সবই একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে।
ধরা যাক, কোনও ওষুধ কিনলেন। ওষুধের পাতায় বা শিশিতে লাগানো থাকবে কিউআর কোড। সেটি স্ক্যান করলেই দেখা যাবে ওষুধটি কারা তৈরি করেছে ও কবে। পাশাপাশি, কোন কোন উপাদান দিয়ে ওষুধটি তৈরি, তা-ও জানা যাবে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ামক সংস্থার অনুমোদন রয়েছে কি না, তা-ও দেখে নিতে পারবেন। অর্থাৎ ওষুধটি আসল না নকল, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া যাবে।
বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবেই এই কিউআর কোড স্ক্যান করার ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ক্যালপল, ডোলো, অগম্যান্টিন-সহ বিভিন্ন রকম ওষুধ রয়েছে সেই তালিকায়। পাশাপাশি, বেশ কিছু ব্যথানাশক ওষুধ, মাল্টিভিটামিন, অ্যালার্জি, গর্ভনিরোধক ওষুধেও কিআর কোড লাগানোর ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।