মেথির গুণে কী ভাবে বাগে থাকবে ডায়াবিটিস? ছবি: শাটারস্টক
ডায়াবিটিসের প্রকোপ বাড়ছে ঘরে ঘরে। দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম মাঝবয়স থেকেই এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোতে না পেরোতেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ডায়াবিটিসের সূত্র ধরে শরীরে বাসা বাঁধে কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো হাজারটা রোগ।
ডায়াবিটিসকে জব্দ করা সহজ নয়। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি রোজের জীবনে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ তো রয়েছেই। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে একাধিক বিধি-নিষেধ। তখন ইচ্ছেমতো খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে না। যে কোনও উপায়েই হোক ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। নয়তো এরই হাত ধরে নানা শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কিছু ঘরোয়া টোটকা দিয়েও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে ভরসা রাখতে পারেন মেথির বীজে। হেঁশেলের এই মশলা রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ডায়াবিটিস সামলাতেও পারদর্শী। মেথিতে রয়েছে থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফল্যাভিন, নিয়াসিনের মতো উপকারী উপাদান। এগুলি ছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম-সমৃদ্ধ মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। ডায়াবিটিস রোগীর জন্য মেথি তাই মহৌষধি।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) ১০ গ্রাম মেথি রাতে এক গ্লাস গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই জল ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে খেয়ে নিন। ডায়াবেটিকদের জন্য এই অভ্যাস দারুণ উপকারী।
২) মেথিজল বেশ তেতো হয়, তাই অনেকেই এই জল খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে মেথি ভিজিয়ে রেখে অঙ্কুর হয়ে গেলে সেটাও স্যালাডের মধ্যে দিয়ে খাওয়া যায়। নুন, লেবু, চাটমশলা দিয়ে খেলে ততটা তেতো লাগে না।
৩) মেথি শুকনো তাওয়ায় ভেজে রেখে দিন। রান্নাতে এই মশলার ব্যবহার করুন বেশি মাত্রায়।
৪) এ ছাড়া মেথি চা-ও খেতে পারেন। কেটলিতে জল গরম করতে বসান। ফুটে উঠলে তাতে এক চামচ মেথি গুঁড়ো দিন। এর সঙ্গে মেশাতে পারেন মধু এবং তুলসী পাতা। সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে নিয়ে সামান্য ঠান্ডা করে চুমুক দিন মেথি চায়ে। ডায়াবিটিস থাকবে হাতের মুঠোয়।