— প্রতীকী চিত্র।
সারা দিন ধরে উদয়াস্ত খেটে পরিবারের সকলের জন্য একহাতে রান্না করেছেন। রাতে শোয়ার সময়ে ব্যথা-যন্ত্রণা টের পাচ্ছেন। মলম লাগিয়ে, হাতে গরম সেঁক দিয়ে খানিকটা আরাম মিললেও হাতে জোর পাচ্ছেন না মোটে। কাচের গ্লাস ধরতে গেলে ভয় লাগছে, পাছে ফসকে যায়। এমনি ভেজা কাপড় নিংড়াতে গেলেও হাত থেকে পোশাক পড়ে যাচ্ছে। চাপ দিতে পারছেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, হাতের কব্জির স্নায়ুতে আঘাত লাগলে এই ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া, মারাত্মক কোনও দুর্ঘটনায় চোট বা আঘাত লাগলেও স্নায়ুর কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়। ফিজ়িয়োথেরাপি করে সাময়িক ব্যথা কমানোর পর নিয়মিত ব্যায়াম করলে আরাম মিলতে পারে।
হাতের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না বুঝবেন কী করে?
১) হঠাৎ কোনও কারণ ছাড়াই হাত অবশ হয়ে যাওয়া বা হাতে ঝিঁঝিঁ ধরার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যা হাতের নির্দিষ্ট কোনও জায়গা থেকে শুরু করে ক্রমশ গোটা হাতেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২) ঘুমের মধ্যেও হাতে পিন ফোটার মতো অনুভূতি হলে বুঝতে হবে তা স্নায়ুতে আঘাত পাওয়ার কারণে হলেও হতে পারে।
৩) হাতের মুঠোয় কোনও রকম জোর থাকে না স্নায়ুতে আঘাত পেলে। পেশিও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।