রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে ঠিক ভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। প্রতীকী ছবি।
রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখা সহজ নয়। কখনও বেড়ে যায়। আবার কখনও অনেক কমে যায়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১৪০/ ৯০। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কারও রক্তচাপের মাত্রা যদি ১১০/৬-এর নীচে নেমে যায়, তা হলে ওই ব্যক্তি নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন বলে ধরে নেওয়া হয়।
রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে গেলে যেমন নানা অসুবিধা হয়। তেমনই স্বাভাবিকের তুলনায় অত্যধিক কমে গেলেও কিন্তু ঝুঁকি থাকে। রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে ঠিক ভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। ফলে বুক ধড়ফড় করে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, বমি ভাব, শ্বাস নিতে সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। অনেকেরই ধারণা, উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে নিম্ন রক্তচাপ কম ভয়ের। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধারণা একেবারেই সত্যি নয়। হৃদ্যন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে নিম্ন রক্তচাপ। তাই এমন হলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকলে রোজের জীবনে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম।
১) শরীরে জলের ঘাটতি নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে তাই শরীর আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। নয়তো রক্তচাপ কমে গিয়ে বিপদ হতে পারে।
২) অত্যধিক হারে মদ্যপানের অভ্যাস, শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। জলের ঘাটতি দেখা দিলে নিম্ন রক্তচাপের মতো সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
৩) উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নুন খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সামান্য নুন খাওয়া যেতে পারে।
৪) প্রোটিন, মিনারেলস, কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। নিম্ন রক্তচাপে শারীরিক দুর্বলতা থাকে। নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।