বংশগত কারণেও কমবয়সে বাড়তে পারে ওজন। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র একটি গবেষণা অনুসারে, ২০২০ সালে ৫ বছরের কমবয়সি তিন জন শিশুর এক জনের মধ্যেস্থূলতার সমস্যা দেখা দিয়েছিল।মূলত কোভিড পরিস্থিতিই এই সমস্যার অন্যতম কারণ। সারা ক্ষণ গৃহবন্দি। পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। বাচ্চাদের অনেকটা সময় কেটেছে মোবাইল ফোনে মগ্ন থেকে। মাঠে খেলাধুলাও বন্ধ। সব মিলিয়ে ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে দ্রুতগতিতে।
বংশগত কারণেও কমবয়সে বাড়তে পারে ওজন। বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কোনও সদস্য স্থূলকায় হলে সন্তানও স্থূল হতে পারে।
স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে কি আপনার সন্তান? কী ভাবে বুঝবেন?
ওবেসিটি বা স্থূলতার সমস্যা আছে কি না, তা বোঝার এক মাত্র পদ্ধতি হল ‘বডি মাস ইনডেক্স’(বিএমআই)। কোনও শিশুর বিএমআই যদি ৩০-এর উপর থাকে, সেক্ষেত্রে ধরা যেতে পারে যে, সেই শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। ছোটবেলা থেকে ওবেসিটি গ্রাস করলে শরীরে বিপাক হার কমতে থাকে। ফলে ইনসুলিন সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। টাইপ টু ডায়াবিটিস, পিসিওডি(পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম), হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত স্থূলতা শিশুর শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যারও কারণ হয়ে ওঠে। শিশুর প্রতি বাবা-মায়েদের বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। সুস্থ জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শিশুর স্থূলতার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
বাইরের খাবার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
শিশুর মাত্রাতিরিক্ত ওজন প্রতিরোধ করতে বাবা-মায়েরা কী করবেন?
১) আজকাল শিশুরা শাক-সব্জি খেতে বিশেষ ভালবাসে না। পরিবর্তে ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাইরের খাবারই তাদের বিশেষ পছন্দ। এই ধরনের খাবারগুলি সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বাচ্চাদের বেশি করে শাকসব্জি, ফলমূল খাওয়ান।
২) অনেক শিশু ফল বা শাকসব্জি খেতে চায় না। সেক্ষেত্রে ফল দিয়ে সুস্বাদু স্মুদি বানিয়ে দিতে পারেন। শাক-সব্জি দিয়েও বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার বানিয়ে দিতে পারেন সন্তানকে।
৩) চিনিযুক্ত পানীয়, পিৎজা, বার্গার, চিপসের মতো বাইরের খাবার সন্তানের রোজের খাদ্যতালিকায় যাতে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। এই খাবারগুলি অতিরিত্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।