এখন মুখের গন্ধ নির্মূল করতে অনেকেই বাজার চলতি একাধিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। ছবি: শাটারস্টক।
মুখের দুর্গন্ধ থাকলে বিকর্ষণ অনিবার্য। মুখ খুললেই সামনের মানুষটির মন-প্রাণ যাতে এমন আকুল হয়ে উঠতে পারে যে, মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এখন মুখের গন্ধ নির্মূল করতে অনেকেই বাজার চলতি একাধিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। কিন্তু সবার পক্ষে এই ধরনের তরল কেনা সম্ভব নয়। তা ছাড়া কেবল অর্থনৈতিক কারণেই নয়, বহু মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে এখন ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক উপাদান কাজে লাগাতে বেশি পছন্দ করেন। যাঁরা বাজারজাত মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে চান না, তাঁরা বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
লবঙ্গ: ৪-৫টি
গোলমরিচ: ৪-৫টি
জল: ২ কাপ
প্রণালী:
একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে গোলমরিচ ও লবঙ্গ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ভাল করে এক বার ফুটলে পাত্র নামিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক নাড়িয়ে ঠান্ডা করে নিন। ব্যাস তাতেই কেল্লাফতে। মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করাই হোক, বা দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখা— মুখ গহ্বর ভাল রাখতে এই প্রাকৃতিক মাউথওয়াশের জুড়ি মেলা ভার।
বাড়িতে তৈরি মুখ পরিষ্কার করার এই দ্রবণে কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক যেমন থাকে না, তেমনই থাকে না অ্যালকোহল। প্রতীকী ছবি।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
দাঁত মাজার পর দ্রবণটি মুখে নিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে ফেলে দিতে হবে। এ ভাবে দিনে দু’বার মুখ সাফ করতে হবে। বাড়িতে তৈরি মুখ পরিষ্কার করার এই দ্রবণে কোনও কৃত্রিম রাসায়নিক যেমন থাকে না, তেমনই থাকে না অ্যালকোহল। ফলে যাঁদের মুখ স্পর্শকাতর, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। কৃত্রিম মাউথওয়াশে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ অনেক সময়ে মুখের লালা গ্রন্থির ক্ষরণ কমে যায়। একে বিজ্ঞানের ভাষায় জেরোস্টোমিয়া বলে। বাড়িতে তৈরি এই মাউথওয়াশে এই ধরনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।