পছন্দের খাবার খেয়েও নির্মেদ থাকা যাবে কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
খেতে ভালবাসেন? পায়েস, মিষ্টি, বিরিয়ানি, চপ— পছন্দের তালিকা বেশ লম্বা। কিন্তু সমাজমাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা রকম পরামর্শ দেখে মন খুলে সে সব খেতে পারছেন না? ঘি-চপচপে বিরিয়ানি খেতেও ইচ্ছা করছে, আবার নির্মেদ কোমরও চাই। কুল রাখি, না শ্যাম— সেই ভাবতে ভাবতেই দিন যায়। কিন্তু এমন কি কোনও উপায় আছে, যেখানে পছন্দের খাবারের সঙ্গে আপস না করেই ওজন বশে রাখা যায়?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সেটা সম্ভব। তবে কৌশল জানা দরকার। খাওয়ার পরিমাপ, ক্যালোরির হিসেবনিকেশের পাশাপাশি দৈনন্দিন কয়েকটি সহজ অভ্যাসই কাজ হতে পারে।
কী সেই কৌশল?
কেউ ভালবাসেন পিঠেপুলি। কারও আবার বিরিয়ানি, মোগলাই, রোল, চাউমিন থাকে পছন্দের তালিকায়। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর মত, খাবার খাওয়ায় অসুবিধা নেই। তবে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে।
মিষ্টি খাওয়ার নিয়ম: অনেকেরই রাতে খাওয়ার শেষে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস। তবে পুষ্টিবিদ বলছেন, শেষপাতে নয়, বরং মিষ্টি খান ভারী খাবারের বেশ কিছু ক্ষণ পরে। সকালে জলখাবার খাওয়ার পরে খেতে পারেন, আবার সন্ধ্যাবেলাও একটি মিষ্টি খাওয়া যায়। তবে খাবার পর মিষ্টি খেলে, একসঙ্গে অনেকটা ক্যালোরি শরীরে যাবে। তার পরই ঘুমিয়ে পড়ার ফলে, সেই ক্যালোরি খরচ হওয়ার সময় পাবে না। কেউ যদি পিঠেপুলি বা পায়েস খেতে চান, তা হলে রাতে আর অন্য খাবার নয়, শুধু পায়েস বা শুধু পিঠে খেতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রেও মাপ বুঝতে হবে।
বিরিয়ানি, ভাজাভুজি: বিরিয়ানি, ভাজাভুজি ভাল লাগতেই পারে। তবে পরিমাপ বুঝতে হবে। নিয়মিত এই সব খাবার খাওয়া যাবে না। উৎসব-অনুষ্ঠানে কখনও ভীষণ খেতে ইচ্ছা করলে চলতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে এক থালা বিরিয়ানি নয়, খেতে হবে তার অর্ধেক বা এক- তৃতীয়াংশ। রোল এমন সময়ে খান, যার পর খানিকটা হাঁটাহাটি করতে পারেন।
দক্ষিণ ভারতীয় খাবার: অনেকে ইডলি, দোসা বা দক্ষিণী খাবার ভালবাসেন। এগুলি স্বাস্থ্যকর এবং ক্যালোরির পরিমাণও কম।
পছন্দমতো খাবার খেয়ে দ্রুত মেদ ঝরানোর অন্য উপায় বলছেন আর এক পুষ্টিবিদ সালেয়া বাহাজ়ির। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি বলছেন, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকলে চট করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা থাকে না। তাঁর পরামর্শ, খাওয়ার আগে জল দিয়ে সামান্য অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেতে হবে। এতে খাবারের শর্করা শরীরে কম শোষিত হয়, যা ওজন বশে রাখতে সাহায্য করে।
খাওয়ার পর হাঁটা
খাওয়ার পর মিনিট ১৫ হাঁটা বা হালকা শরীরচর্চার পরামর্শ দিচ্ছেন সালেয়া। এতে শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ খরচ হয়ে যাবে, মেদ হয়ে জমতে পারবে না।
নিয়মিত ইসবগুল খেতে বলছেন সালেয়া। এতে পেট পরিষ্কার হয়। ইসবগুলে থাকা ফাইবারের জন্য শরীরে গ্লুকোজের শোষণ কম হয়ে বলে জানাচ্ছেন তিনি। এর ফলে ওজন বশে রাখা সহজ হয়।