কোলেস্টেরল মানেই খারাপ নয়। ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়লেই সাধারণের মাথায় হাত পড়ে! এই রোগ হওয়া মানেই তো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। তবে শরীরে বেশ কিছু উপকারী কোলেস্টেরলও থাকে। এই কোলেস্টেরলকে হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) বলা হয়। এটি খারাপ কোলেস্টেরলকে শোষণ করে এবং শরীর চাঙ্গা রাখে। এই কোলেস্টেরল কিন্তু হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। তাই শরীরে এইচডিএল সঠিক মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। খাদ্যতালিকায় এবং জীবনযাত্রায় সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলেই আমরা রক্তে এইচডিএল মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।
১) শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়ম করে কাঠবাদাম, আখরোট, তেলযুক্ত মাছ, সর্ষের তেল, জলপাই, অ্যাভোকাডো, সিমের মতো খাবার বেশি করে খান।
২) খাদ্যতালিকায় বেগুনি রঙের সব্জি রাখুন। বেগুন, বেগুনি বাঁধাকপিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩) রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে শরীরচর্চার উপর ভরসা রাখতেই পারেন। এ ক্ষেত্রে অ্যারোবিক ব্যায়াম, ভারী শরীরচর্চা করলে উপকার পেতে পারেন। তা ছাড়া নিয়মিত হাঁটাহাটি করলে, সাঁতার কাটলেও এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়ে।
শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে চাইলে ধূমপান ছাড়তে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
৪) শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে চাইলে ধূমপান ছাড়তে হবে। এই অভ্যাসটি আপনার রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। বাড়াতে পারে লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল)-এর মাত্রা, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৫) ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। শরীরের আনাচ-কানাচে মেদ জমলেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, আর ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। তাই ট্র্যান্স ফ্যাট আছে এমন খাবার, যেমন, চিপ্স, নরম পানীয়, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।