বাজার থেকে কিনে আনছেন টাটকা মাছ, কিন্তু তা খেয়েও পেটে গোলমাল লেগেই রয়েছে! ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালেও বাঙালির পাতে পড়ছে ইলিশ মাছ। সবটাই বরফে মজুত করে রাখা মাছ! বাঙালির পাতে যত মাছ পড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শরীরে জমা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। মাছকে দীর্ঘ দিন টাটকা রাখতে মাছ ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছ ফর্মালিন মিশিয়ে রাখেন। সাধারণ রুই-কাতলা থেকে চাপড়া চিংড়ি, সবেতেই মিশছে এই রাসায়নিক।
বাজার থেকে কিনে আনছেন টাটকা মাছ, কিন্তু তা খেয়েও পেটে গোলমাল লেগেই রয়েছে! এমনটা কি প্রায়ই হয়? তা হলে বুঝবেন আপনার কিনে আনা মাছ আদতে যতটা টাটকা দেখায়, আসলে তা নয়। চিকিৎসকরা বলেন, এই রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে আমাদের দেহে৷
কী ভাবে ঘরোয়া উপায়ে কাটাবেন ফর্মালিনের প্রভাব? ছবি: সংগৃহীত।
এক একটি মাছে যে পরিমাণ ফর্মালিন মেশে, তাতে এক দিনেই হয়তো অনেকটা ক্ষতি হয় না, কিন্তু দিনের পর দিন ওই মাছ খেতে থাকলে বিপদ হবেই। তাই দেখে নিন, কী ভাবে ঘরোয়া উপায়ে কাটাবেন ফর্মালিনের প্রভাব।
বাজার থেকে এনে ঠান্ডা জলে প্রথমে ধুয়ে নিন সেই মাছ। ঠান্ডা জলের প্রভাবে মাছের শরীরের ফর্মালিন কিছুটা বেরিয়ে যায়। এর পর নুন জল তৈরি করে তাতে আধ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখুন মাছ। নুন মাছের শরীরের ক্ষতিকর রাসায়নিককে সহজেই বার করে আনে। এই দুই প্রক্রিয়া অবলম্বন করলে ফর্মালিন অনেকটাই বেরিয়ে যায়। আরও ভাল হয়, যদি ভিনিগার মেশানো জলে মাছগুলি ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এতে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর হয় আর ফর্মালিনও বেরিয়ে যায়।
অনেকের ধারণা ইলিশ মাছ বেশি ধুলে তার স্বাদ বিগড়ে যায়। তাই কোনও রকমে ধুয়েই ঝোলে পড়ে মাছ! টাটকা মাছ হলে তাতে ক্ষতি নেই, তবে বাসি মাছ হলে ভাল করে না ধুয়ে খাওয়া উচিত হয়। স্বাদের খেয়াল রাখতে গিয়ে বিগড়ে যেতে পারে স্বাস্থ্য।