আদার গা মসৃণ করার জন্য এক ধরনের অ্যাসিড ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা। ছবি- সংগৃহীত
যে প্রদেশেরই রান্না হোক না কেন, হেঁশেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মশলা আদা। কেবল মশলা হিসেবেই নয়, ভেষজ হিসেবেও আদার অনেক গুণ রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় গলা খুসখুসে কাশি হলেও চটজলদি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মুখে রাখা যায় আদাকুচি। আর করোনা অতিমারির পর থেকে আদা চা খাওয়া তো এক রকম নিয়মের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। কারণ, আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
কিন্তু বাজারে গিয়ে আদা কিনে আনছেন অথচ সেই আগের মতো আদার গন্ধটাই যেন নেই। ‘আদার ব্যাপারী’-রা যখন আছেন, তখন ব্যবসায় লাভ-ক্ষতির হিসেবও থাকবে। ক্রেতাদের চাহিদা বুঝেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আদার মতোই দেখতে এমন একটি পাহাড়ি গাছের শিকড়কে আদা বলে বিক্রি করেন। ওই গাছের শিকড় এবং আদা এতটাই এক রকম দেখতে যে, আদা ভেবে গুলিয়ে ফেলা অসম্ভব ব্যাপার নয়।
আদার গন্ধই আপনাকে চিনিয়ে দেবে, সেটি আদৌ ভাল কি না। ছবি- সংগৃহীত
বাজারে গিয়ে আদা চিনবেন কী করে?
১) পরিষ্কার, স্বচ্ছ ত্বক
সব্জি হোক বা ফল, অনেকেই তার রং বা কতটা চকচকে তা দেখে আকৃষ্ট হন। বাজারে গিয়ে আদা কেনার সময় খেয়াল করবেন, আদার উপরিভাগ খুব স্বচ্ছ, মসৃণ কি না। অনেকেই জানেন না, আদার গা মসৃণ করার জন্য এক ধরনের অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
২) খোসা ছাড়িয়ে দেখুন
আদা খোসা খুব পাতলা হয়। তাই নখ দিয়ে খুঁটলে সহজেই উঠে আসে। যদি খোসা উঠতে না চায়, বুঝতে হবে সেটি আদা না-ও হতে পারে।
৩) গন্ধ চিনিয়ে দেবে
আদার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ, কোন ভাবেই ঢাকা দেওয়া যায় না। আদার গন্ধই আপনাকে চিনিয়ে দেবে, সেটি আদৌ ভাল কি না। আদায় গন্ধ যদি না থাকে, তা হলে বুঝতে হবে সেটি ওই গাছের শিকড়। পাহাড়ি ওই গাছের শিকড়ে কোনও গন্ধ থাকে না।
৪) আঁশযুক্ত আদা
যদি সম্ভব হয় আদা ভেঙে দেখুন, আদার ভিতরের অংশ আঁশযুক্ত কি না। এই আঁশ কিন্তু গাছের শিকড়ে থাকে না।