Jammu-Kashmir Terror Attack

পহেলগাঁওয়ের ‘মৃত্যু উপত্যকা’য় যাবেন সেনাপ্রধান, নিয়ন্ত্রণরেখার নিরাপত্তা নিয়ে করবেন বৈঠকও

এ বার কাশ্মীরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। মঙ্গলবার পহেলগাঁয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। ওই ঘটনার পর পরেই সেখানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৫০
Share:
Army Chief General Upendra Dwivedi to visit the Baisaran meadow in Pahalgam

সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। —ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের যেখানে জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেই বৈসরন উপত্যকায় শুক্রবার যেতে পারেন তিনি। নিয়ন্ত্রণরেখার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন।

Advertisement

মঙ্গলবার পহেলগাঁয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। ওই ঘটনার পর পরেই সেখানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এসেছেন তিনি। এ বার কাশ্মীরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান। সেনা সূত্রে খবর, উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সেনা কমান্ডারদের থেকে বিশদে শুনবেন তিনি। উপত্যকা এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় জঙ্গিদের মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়ার কথা সেনাপ্রধানের।

পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যাঁরাই জড়িত, তাঁদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী এই হামলা ঘটিয়েছে এবং যারা এই হামলার ষড়যন্ত্র করেছে, তারা এমন শাস্তি পাবে, যা তাদের কল্পনারও অতীত।’’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। সেই আবহে এ বার উপত্যকায় যাচ্ছেন সেনাপ্রধান।

Advertisement

জঙ্গিহানার ঘটনায় পাল্টা প্রত্যাঘাত হিসাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ পদক্ষেপ করেছে ভারত। অবিলম্বে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি। যত দিন না-পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে লাগাম টানবে, তত দিন সেই চুক্তি স্থগিত থাকবে। অটারি-ওয়াঘা সীমান্তও বন্ধ থাকবে। সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে ভিসা প্রদান প্রকল্পের আওতায় যে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হয়েছিল, তা-ও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দু’দেশের দূতাবাস পুরোপুরি বন্ধ না করে দিলেও কার্যত গুরুত্বহীন করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে ভারত। সামগ্রিক কর্মীর সংখ্যা নামিয়ে আনা হল ৫৫ থেকে ৩০-এ। উভয় দূতাবাস থেকেই স্থলসেনা, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর পরামর্শদাতাদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement