কাশির দাপট কেমন? ছবি: সংগৃহীত।
পান থেকে চুন খসলেই জ্বর-সর্দি হয়। সঙ্গে কাশি তো আছেই। আবহাওয়ার বদলে প্রায় প্রতি ঘরে ঘরেই সর্দি-কাশি-জ্বর হচ্ছে। তা সপ্তাহখানেকের মধ্যে সেরে যাচ্ছে। কিন্তু যক্ষ্মা ব্যাক্টেরিয়া বাহিত একটি রোগ। মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক ব্যাক্টেরিয়া শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করলে যক্ষ্মা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি এবং লালারস থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া ছড়ায়। তাই আগে বাড়িতে যক্ষ্মা রোগী থাকলে ছোঁয়াছুয়ি নিয়ে ভীষণ কড়াকড়ি নিয়ম মেনে চলা হত। কাশির রেশ যদি মাসখানেক বা তার বেশি সময় ধরে চলে, তা হলে তা সাধারণ না-ও হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, যক্ষ্মার ক্ষেত্রে কত দিন ধরে এই কাশি ভোগাচ্ছে, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কাশতে কাশতে কফের সঙ্গে রক্ত উঠছে কি না, সেই দিকে লক্ষ রাখাও যথেষ্ট জরুরি।
যক্ষ্মার উপসর্গগুলি কী কী?
১) ক্লান্তি:
মাসখানেক ধরে কাশি তো রয়েছেই। সঙ্গে ক্লান্তি কিছুতেই কাটতে চাইছে না। ঘুম থেকে ওঠার পরেও ক্লান্ত বোধ করেন অনেকে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ক্লান্তি কিন্তু যক্ষ্মার প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ।
২) ওজন:
খিদে কমে যাওয়া, খাবারে অনীহা এবং দ্রুত ওজন কমে যাওয়া কিন্তু যক্ষ্মার উপসর্গ হতে পারে। তাই কায়িক পরিশ্রম না করেও যদি অস্বাভাবিক ওজন হারে কমতে শুরু করে তা হলে সতর্ক হতে হবে।
সন্ধ্যা বা রাতের দিকে প্রায়ই ঘুসঘুসে জ্বর আসছে? ছবি: সংগৃহীত।
৩) জ্বর:
আবহাওয়ার পরিবর্তনে খুব যে ঠান্ডা লেগেছে, তেমনটা নয়। অথচ, সন্ধ্যা বা রাতের দিকে প্রায়ই ঘুসঘুসে জ্বর আসছে। যক্ষ্মা হলে এমন উপসর্গ দেখা দিতেই পারে। তাই সপ্তাহখানেকের উপর জ্বর থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪) ঘুমের মধ্যে ঘাম:
খুব একটা ঠান্ডা নেই, আবার খুব গরমও পড়েনি। এমন মনোরম আবহাওয়ার মধ্যেও ঘুমের মধ্যে হঠাৎ দরদর করে ঘেমে যাচ্ছেন। যক্ষ্মার আরও একটি লক্ষণ এটি। তবে, ঘুমের মধ্যে ঘামলেই তা যক্ষ্মা না-ও হতে পারে। রজোনিবৃত্তির সময়েও কিন্তু ঘুমের মধ্যে মহিলাদের এমন ‘হটফ্লাশ’ হয়।
৫) বুকে ব্যথা:
কাশির সঙ্গে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে সাবধান। ফুসফুস এবং সেই সংলগ্ন অঞ্চলে প্রদাহ হলে এমনটা হতে পারে। যা সাধারণত যক্ষ্মা হলেই হয়। তাই এমন উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।