রং খেলার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে আসছে ভাঙের শরবত। ছবি: সংগৃহীত
দোলের দিন ভাঙের গ্লাসে চুমুক না দিলে যেন রঙিন আবহটাই কেমন ফিকে হয়ে যায়। অচেনা মানুষ হোক বা অন্যের সংস্কৃতি— সব কিছুই বাঙালি আপন করে নিতে জানে। তাই দীর্ঘ দিন ধরেই বাঙালির রং খেলার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে আসছে ভাঙের শরবত। তবে উৎসবের আতিশয্যে গা ভাসাতে গিয়ে অনেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না নিজেদের। চুমুক দিতে থাকেন একের পর এক ভাঙের গ্লাসে। যার রেশ চলতে থাকে পরবর্তী দু’দিন ধরে। ঝিম ভাব, মাথা যন্ত্রণা, সারা শরীরে ব্যথা, ঘুম ঘুম ভাব। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘হ্যাং ওভার’। তবে চিন্তা নেই। এই অবস্থা কাটানোর ঘরোয়া কয়েকটি উপায় আছে।
ভাঙের ঘোর কাটাবেন কোন উপায়ে?
গ্রিন টি
শরীরের জমে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে গ্রিন টি। ভাঙের নেশার পরের দিন সারা দিনে ৩-৪ বার এই চা পান করুন। ঘুম ঘুম ভাবটা দূর হবে। মাথা ব্যথাও অনেকটাও কমবে।
উৎসবের আতিশয্যে গা ভাসাতে গিয়ে অনেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না নিজেদের।
লেবুর জল
পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। শরীরে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক এই লেবু। ভাঙের নেশা কাটাতেও দারুণ কার্যকরী। ভাঙের আমেজ দূর করতে আধ কাপ ঈষদুষ্ণ জলে বেশি করে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। মাথা ঝিম ঝিম, ঘোর কাটাতে কাজে আসবে লেবু জল।
ডাবের জল
ভাঙের নেশা কাটানোর অন্যতম উপায় হল ডাবেরর জল। এতে মিনারেলস ও ইলোক্ট্রোলাইট উপাদান থাকে। চটজলদি ভাঙের নেশা থেকে বেরোতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন ডাবের জলে।
আদার টুকরো
পর পর কয়েক গ্লাস ভাং খেয়ে নিয়েছেন। কিছু ক্ষণ পর থেকে চোখের সামনেটাঝাপসা হতে শুরু করেছে। এমন হলে কোনও দিকে না তাকিয়ে তৎক্ষণাৎ মুখে পুরে দিন আদার টুকরো। চকোলেটের মতো করে খান। আদার রসে ভাঙবে ঘোর কাটবে দ্রুত।
গরম জলে স্নান
এক লহমায় ক্লান্তি আর ভাঙের নেশা কাটাতে গরমজলে স্নান করে নিন। ভাল করে স্নান করে খানিকটা ঘুমিয়ে নিন। ভাঙের নেশা কাটতে বাধ্য।