ঘরোয়া টোটকাতেই কী ভাবে মুখের আলসার কমিয়ে ফেলবেন? ছবি: শাটারস্টক।
ফুচকা, চপ-শিঙাড়ায় কামড় বসাতেই প্রাণ যায় যায় অবস্থা! ঠোঁটের নীচে, মুখের ভিতরে তীব্র জ্বালায় ঘুম উড়েছে রাতের। এমনটা অনেকের সঙ্গেই ঘটে। অনেকেই বুঝতে পারেন না, হঠাৎ কী হল। কিছু দিন যন্ত্রণাটা থাকে। মুখের এই ক্ষত আসলে আলসার। শরীরে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ফোলেটের মতো কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদানের ঘাটতির কারণে আলসার হয় মুখে। এ ছাড়া ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণে, ব্রেসেস ঠিক মতো না বসলে, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও আলসারের সমস্যা হয়। টক কিছু খেলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। এমন সমস্যা মাঝেমাঝেই হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া, কিছু ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে মুখের আলসার সারানোর। রইল তেমন কয়েকটি টোটকার খোঁজ।
নারকেল তেল: চুলের দেখাশোনা করা থেকে ত্বকের যত্ন— সবেতেই নারকেল তেলের ভূমিকা অনবদ্য। তবে শুধু রূপচর্চায় নয়, নারকেল তেল দেখাশোনা করে শরীরেরও। মুখে আলসার হলে, চটজলদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন নারকেল তেলে। মুখে কোনও ক্ষত দেখা দিলে অল্প নারকেল তেল নিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এতে কমে আসে জ্বালা-যন্ত্রণা।
মধু : সর্দি-কাশি কমাতে মধুর গুণ বলাই বাহুল্য। মুখে ঘা হলেও ব্যবহার করতে পারেন মধু। ক্ষতস্থানে মধু লাগালে সেই জায়গাটি ঠান্ডা হবে। জ্বালা অনেকটাই কমবে এর ফলে। মধুতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল উপাদান যে কোনও সংক্রমণ দূর করতে সক্ষম। তাই মধু লাগালে উপকার পেতে পারেন।
অ্যালো ভেরা: বাজার থেকে কেনা অ্যালো ভেরা জেল নয়, অ্যালো ভেরা গাছের শাঁস টাটকা বার করে মুখে ঘায়ের স্থানে নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালো ভেরার অ্যান্টিইমফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ ঘা শুকোতে সাহায্য করে।