অরুচি দূর করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
সর্দিকাশি হল শীতকালের রোগবালাই। কিন্তু বসন্ত আর গ্রীষ্মের এই সন্ধিক্ষণেও হাঁচি-কাশি লেগেই রয়েছে। হাওয়াবদলের সময় জ্বরও হচ্ছে ঘরে ঘরে। সংক্রমণ সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তো আর কথাই নেই। সারা ক্ষণ মুখে তিতকুটে ভাব। কোনও খাবারেই তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না। জ্বর কমে গেলেও অরুচি সহজে যেতে চায় না। অরুচি কাটাতে অনেকেই বিভিন্ন খাবারের উপরে ভরসা রাখেন। কিছু খাবার সত্যিই দ্রুত মুখের রুচি ফেরাতে সাহায্য করে।
অ্যালো ভেরার রস
অ্যালো ভেরা ত্বকের খেয়াল রাখে। পাশাপাশি, মুখে রুচি আনতেও অ্যালো ভেরার খুবই কাজের। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদানে সমৃদ্ধ অ্যালো ভেরার উপর মুখের রুচি ফেরাতে ভরসা রাখতে পারেন। রোজ সকালে এক বার করে খেতে পারেন অ্যালো ভেরার রস। রুচি ফিরবে দ্রুত।
সব্জির স্যুপ
শীতকাল না হলেও বাজারে নানা রকম মরসুমি সব্জি কম নেই। শাকসব্জি মাত্রেই উপকারী। ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ নানা রকম সব্জি দিয়ে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারেন স্যুপ। মুখের তিতকুটে ভাবও চলে যায় এতে। জ্বর সারাতেও এই স্যুপ খুব কাজের। স্যুপ খেলে গলায় আরামও পাবেন।
নুনের অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ জ্বরের কারণে মুখের ভিতরে জন্ম নেওয়া ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। ছবি: সংগৃহীত।
নুন-জল
পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয় জ্বর হওয়ার পর। এই সমস্যা মেটাতে রোজ এক বার করে নুন-জল খেতে পারেন। আবার গার্গল করলেও উপকার পাবেন। হালকা গরমজলে নুন দিয়ে দিনে দু’বার গার্গল করুন। নুনের অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ জ্বরের কারণে মুখের ভিতরে জন্ম নেওয়া ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। সঙ্গে গলাব্যথা থাকলে তা-ও দূর হবে এতে।