অতিরিক্ত গরমে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়ার একটি কারণ কিন্তু ক্যাফিনজাতীয় পানীয়। ছবি- সংগৃহীত
কাজের মধ্যে থাকলে দিনে কত বার চা-কফি খেয়ে ফেলেন, তার ঠিক নেই। তবে ছুটি থাকলে সেই পরিমাণ সামান্য হ্রাস পেলেও তা এমন উল্লেখযোগ্য নয়। যা গরম পড়েছে তাতে এই উষ্ণ পানীয়ে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি খেলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
চা না কফি, পানীয় হিসাবে কী খেতে ভালবাসেন? ছবি- সংগৃহীত
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি খেলে কর্টিজ়লের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। ফলে যদি ভেবে থাকেন, ঘুম ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে দু-তিন কাপ কফি খেয়ে নিলে মন ভাল হবে, তা আদৌ নয়। পরিবর্তে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যেতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিজ়ল ক্ষরণ বিপাকহার, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ত্রণে রাখে। কিন্তু অত্যধিক মাত্রায় এই হরমোনের ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস এমনকি, হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। সর্বোপরি এই গরমে ক্যাফিনজাতীয় পানীয় বেশি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। শরীর থেকে জল শুকিয়ে গেলে শারীরিক নানা সমস্যা হতে পারে। তাই যদি এই পানীয় খাওয়ায় লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।
১) শরীরচর্চায় মন দিন
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময়ে চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফিন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।
২) এমন মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করুন, যাঁরা চা বা কফি খান না
কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফিনজাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যাঁরা কথায় কথায় চা, কফি খান না।
৩) চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়ার অভ্যাস করুন
যখনই চা বা কফি খেতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি খেয়ে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন। গরম জলে এক চিমটে দারচিনির মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে একদিনে হঠাৎ এই নেশা ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। নিয়মিত অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে চা বা কফি খাওয়ার ঝোঁক কমতে পারে।