কার কবে ঋতুবন্ধ হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে তার খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনের পদ্ধতির উপর। ছবি : সংগৃহীত
বয়স পঞ্চাশের আশপাশে পৌঁছলেই সবচেয়ে বেশি যে চিন্তাটি মহিলাদের ভাবায়, তা হল ঋতুবন্ধ। এই কারণে অনেকেই অবসাদে ভোগেন। কিন্তু এটিও তো ঠিক যে, ঋতুবন্ধ একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যার সম্মুখীন আপনাকে এক দিন না এক দিন হতেই হবে! তবে কার কবে ঋতুবন্ধ হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে তার খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনের পদ্ধতির উপর। ঋতুবন্ধের লক্ষণগুলি সম্পর্কে কম বেশি সকলেই জানেন। সকলের শরীরে কিন্তু একই রকম লক্ষণ প্রকাশ পায় না। এই বয়সে লক্ষণগুলি প্রকাশ পাওয়ার আগে থেকেই প্রতি দিনের রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনলে ঋতুবন্ধের পরের জীবন অনেকটা স্বাভাবিক হতে পারে।
প্রতিদিন নিজের রুটিনে কী কী যোগ করলে নিজে ঋতুবন্ধের পরের সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারবেন?
১) শরীরচর্চা
বাড়ি এবং বাড়ির বাইরে যতই কাজ থাকুক, শরীরচর্চা বন্ধ করা যাবে না। এই সময়ে মানসিক নানা পরিবর্তনের সঙ্গে শারীরিক পরিবর্তনও হতে থাকে। সবচেয়ে বেশি হয় হাড়ের ক্ষয়। তাই ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন ডি খাওয়ার পাশাপাশি, ব্যায়ামের অভ্যাস রাখা জরুরি।
বাড়ি এবং বাড়ির বাইরে যতই কাজ থাকুক, শরীরচর্চা বন্ধ করা যাবে না। ছবি : সংগৃহীত
২) ধূমপান ত্যাগ করা
আপনার যদি ধূমপান করার অভ্যাস থাকে, তা অবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। সিগারেটে থাকা নিকোটিন, ঋতুবন্ধের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এ ছাড়াও ধূমপান করলে ঘুমও কম হয়। এই সময় পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও অবসাদ আসতে পারে।
৩) ক্যাফিন জাতীয় পানীয় না খাওয়া
ঘুমের মধ্যে বা কাজ করতে করতে আপনার কি হঠাৎ গা জ্বালার মতো লক্ষণ দেখা দেয়? তা হলে কিন্তু কফি খাওয়ার অভ্যাসে লাগাম পরাতে হবে। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফিন ‘হট ফ্লাশ’-এর প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে।
৪) মদ্যপান কমিয়ে আনা
অনেক সময়েই চিকিৎসকরা বলে থাকেন, পরিমিত মদ্যপান শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু সাধারণের জন্য তা ঠিক হলেও, ঋতুবন্ধের সময়, মদ্যপান ঠিক নয়। তবে একেবারে বন্ধ করতে না পারলে সপ্তাহে এক দিন, পরিমিত পরিমাণ ওয়াইন চলতে পারে।
৫) ইস্ট্রোজেনযুক্ত ক্রিম
এই সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমতে থাকায়, যৌনাঙ্গ অতিরিক্ত স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। এই সময়ে চিকিৎসকরা যৌনাঙ্গে ইস্ট্রোজেনযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন। কারণ এই জাতীয় ক্রিমে খাওয়ার হরমোনের ওষুধ বা হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।