ছবি: সংগৃহীত।
মগজ এবং শরীরের সব কলকব্জাকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করানোর জন্য ঘুমের প্রয়োজন। মানসিক চাপ সামাল দিতে গেলেও রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। সারা দিন কাজের পর শক্তি পুর্নসঞ্চয়, নতুন কোষ তৈরি, মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড ঠিক রাখা থেকে ক্ষত সারানো— সবের নেপথ্যেই রয়েছে ঘুম। সদ্যোজাত শিশুর যে পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন সেই পরিমাণ ঘুম তো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ঘুমোতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন কোন বয়সে কত ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন।
সদ্যোজাত (০-৩ মাস): দিনে ১৪-১৭ ঘণ্টা
ইনফ্যান্ট (৪-১১ মাস): দিনে ১৪-১৫ ঘণ্টা
টডলার (১২-৩৫ মাস): দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা
প্রি-স্কুলের বাচ্চা (৩-৬ বছর): দিনে ১১-১৩ ঘণ্টা
প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চা (৬-১০ বছর): দিনে ১০-১১ ঘণ্টা
বয়ঃসন্ধি (১১-১৮ বছর): দিনে ৯.২৫ ঘণ্টা
প্রাপ্তবয়স্ক: ৮ ঘণ্টা
কম ঘুমোলে শরীরে তার প্রভাব কেমন হতে পারে?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কম ঘুমোলে তার প্রভাব শরীরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শরীরে প্রদাহের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে কয়েকগুণ। তা ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার নেপথ্যেও রয়েছে ঘুমের পরিমাণ।
কী কী কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে?
অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় পানীয়, নরম ঠান্ডা পানীয় খেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ধূমপান কিংবা মদ্যপানে লাগাম টানতে না পারলেও সমস্যা বাড়তে পারে। এ ছাড়া, ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন ডি-এর অভাবেও অনেক সময়ে অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।