গ্রিন টি খাওয়া ভাল নয়? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর সময়ে না চাইলেও উল্টোপাল্টা খাওয়াদাওয়া হবে। আবার স্বাস্থ্যের কথাও তো ভাবতে হবে। উৎসব-অনুষ্ঠান শেষ হলেই তো বাড়তি মেদের চিন্তায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে। তাই সব দিক বিচার করে একটু বেশি বার গ্রিন টি খাচ্ছেন। নিয়ম করে গ্রিন টি খেলে ক্যানসার, অ্যালঝাইমার্স, স্ট্রোক ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। এমনকি, ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ঠিক মতো উপকার পেতে কতটা গ্রিন টি খাওয়া জরুরি, জানেন কি? কেউ দিনে দু’কাপ খান, কেউ কেউ আবার বেশি উপকার পেতে পাঁচ-ছ’কাপ এই চা খেয়ে ফেলেন। না জেনে বুঝেই কম বা বেশি খেয়ে ফেলছেন না তো? কিংবা দিনের এমন সময়ে খাচ্ছেন, যে সময়ে খাওয়াটা খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়।
কখন খাবেন?
খালি পেটে গ্রিন টি খান কি? খাবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি খেতে হলে দুটি ভারী খাবারের মাঝখানের বিরতিতেই খাওয়া উচিত। সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে হলে কোনও ভারী খাবার খাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে কিংবা দু’ঘণ্টা পরে গ্রিন টি খেতে পারেন। এই চায়ে ক্যাফিন ও ক্যাটেচিন ভাল মাত্রায় থাকে, এই যৌগগুলি বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন ঝরানোর জন্য গ্রিন টি খেতে হলে খাবারের মাঝে খাওয়াই শ্রেয়। খালি পেটে খেলে তেমন উপকার পাবেন না।
কত বার খাবেন?
বার বার গ্রিন টি খান? দিনে ৩-৫ বার গ্রিন টি খেতে পারেন, তবে তার বেশি নয়। গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন থাকে, তেমনই কিন্তু ক্যাফিনও থাকে। বেশি গ্রিন টি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, শরীরের অতি প্রয়োজনীয় পদার্থগুলিও বেরিয়ে যেতে পারে।
কারা গ্রিন টি এড়িয়ে চলবেন?
গ্রিন টি খেলে উল্টোপাল্টা খাওয়ার খিদে একটু কমবে, সেই সঙ্গে ওজনও ঝরবে। তবে বদহজম ও ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের সমস্যা থাকলে গ্রিন টি এড়িয়ে চলাই ভাল। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খুব বেশি গ্রিন টি না খাওয়াই ভাল। এ ছাড়া ক্যাটেচিন নামক যৌগটি শরীরে আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তাই রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে গ্রিন টি এড়িয়ে চলাই ভাল।