Cholesterol

শরীরচর্চা, ডায়েট, ওষুধের পর রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগে?

ওষুধ খেতে শুরু করলেন মানেই যে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিকের মতো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে, এমনটা কিন্তু নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৮
Share:
Symbolic image of blood artery

ছবি- সংগৃহীত

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ মিলিগ্রামের বেশি থাকা মানেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ কোলেস্টেরল রক্ত চলাচলে বাধা দেয়। নিজের গতিতে রক্ত প্রবাহিত হতে না পারার কারণে জমাট বেঁধে যায়। ধমনীতেও প্রভাব পড়ে এর ফলে। রক্ত জমাট বেঁধে গেলে হৃদ্‌যন্ত্রের উপরও চাপ পড়ে। ফলে স্বাভাবিক হারে আর পাম্প করতে পারে না। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

Advertisement

মুঠো মুঠো ওষুধ খেলেই কি সমস্যার সমাধান সম্ভব?

চিকিৎসকের মতে, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চার সঙ্গে ‘স্ট্যাটিন’ জাতীয় ওষুধ খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে। এই ‘স্ট্যাটিন’ জাতীয় ওষুধ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় অনেকটাই।

Advertisement
Symbolic Image of blood vessel

ছবি- সংগৃহীত

কমপক্ষে কত সময় লাগে?

চিকিৎসকের মতে, রক্তে কোলেস্টেরল ধরা পড়ার পর আবার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসতে সাধারণত ৩ মাস সময় লাগে। তবে, শুধু ওষুধ খেলেই হবে না। এর সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়াও জরুরি।

অন্যান্য শারীরিক জটিলতা আছে কি?

ওষুধ, স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং শরীরচর্চার পরও ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক কোনও জটিলতা আছে কি না, তা দেখাও জরুরি। কারণ, কোলেস্টেরলের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে কোলেস্টরলের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। এ ছাড়াও কাজের চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ,পর্যাপ্ত ঘুমের উপরেও নির্ভর করে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কত তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement