দ্বিতীয় বার মা হওয়ার ক্ষেত্রে কি জটিলতা কম? ছবি: সংগৃহীত।
বলিপাড়ার খবর ফের মা হতে চলেছেন অনুষ্কা শর্মা। অভিনেত্রী নাকি তিন মাসেরর অন্তঃসত্ত্বা। বিরাট-অনুষ্কার মেয়ে ভামিকার বয়স ২ বছর। এরই মাঝে দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের খবরে খুশির মেজাজ বলিপাড়ায়। অনুষ্কার বয়স এখন ৩৫ বছর। বেশ কিছু দিন ধরেই পাপারাৎজ়ির চোখের আড়ালে রয়েছেন তিনি। অনেকেই বলেন প্রথম বারের তুলনায় দ্বিতীয় বার মা হওয়া অনেক সহজ। তবে কি এই ধারণার পিছনে আদৌ কোনও যুক্তি আছে?
দ্বিতীয় বার মা হওয়ার সময়ে শরীরে বেশ কিছু বদল আসে ঠিকই। দ্বিতীয় বারের ক্ষেত্রে স্ফীতোদর আগে দেখা যায়। এর কারণ প্রথম বারের পর আপনার পেট ও জরায়ুর পেশি বেশ নরম থাকে, ফলে সহজেই পেট বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বারে স্তন ভারী হয়ে যাওয়া, নরম হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ প্রাথমিক পর্যায় চোখে পড়ে না। দ্বিতীয় বার প্রসব যন্ত্রণাও প্রথম বারের মতো মনে হয় না। শরীর আগে থেকেই সেই যন্ত্রণা নিতে প্রস্তুত থাকে। তবে দ্বিতীয় বারে সন্তানের জন্ম দেওয়া অনেক সহজ ও নিরাপদ, এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। প্রথম বার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনও মা যদি উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াাবিটিসের মতো সমস্যায় ভোগেন, দ্বিতীয় বারেও কিন্তু সেই ঝুঁকি থেকেই যায়। স্ত্রীরোগ চিকিৎসক অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রথম বার প্রসব নিরাপদে হয়েছে বলেই দ্বিতীয় বারও তেমনটা হবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। দ্বিতীয় বারও কিন্তু হবু মায়ের শরীরে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। প্রত্যেকের শরীর আলাদা, তাই কখন কী জটিলতা দেখা দেবে, তা আগে থেকে বলা যায় না। বিশেষ করে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হয়।’’
দ্বিতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা হলে কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে?
১) পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ঘুমের সঙ্গে কোনও রকম আপোস করা চলবে না।
২) পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ডায়াবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে খাওয়াদাওয়ার সময় সে কথাও মাথায় রেখে চলতে হবে। অতিরিক্ত চিনি কিংবা নুন খাওয়া চলবে না।
৩) নিয়ম করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কোনও রকম সমস্যা হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।