অনেক সময় যৌনমিলনে সমস্যা দেখা দিলেও মুখ ফুটে বলে উঠতে পারেন না পুরুষরা। ছবি: শাটারস্টক
সুখী দাম্পত্য-জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি সুস্থ যৌনজীবন। কিন্তু এখনও যৌনজীবন নিয়ে কথা বললেই নাক সিঁটকান অধিকাংশ মানুষ। তাই কোনও সমস্যা দেখা দিলেও তা লুকিয়ে রাখাই দস্তুর। বিশেষ করে, অনেক সময় যৌনমিলনে সমস্যা দেখা দিলেও মুখ ফুটে বলে উঠতে পারেন না পুরুষরা। এমনই এক সমস্যা হল বন্ধ্যত্ব।
বহু পুরুষের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পাওয়া, শুক্রাণুহীনতা, মিলনে অক্ষমতা-ইত্যাদি নানা রোগ দেখা যায়। পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ডায়াবিটিস, স্থূলতা, চর্বিজাতীয় বা রাস্তার খাবার খাওয়ার প্রবণতা, তামাক সেবন— বিবিধ কারণে বন্ধ্যত্বের সমস্যা বাড়ে।
এ ছাড়াও কী কী কারণে হতে পারে বন্ধ্যত্ব?
১) ক্রোমোজ়োমঘটিত রোগ যেমন ক্লাইন, ফিলটার সিনড্রোম প্রভৃতির জন্য শুক্রাণু কমে যেতে পারে।
২) ড্যারিকোসিন নামক অণ্ডকোষের রোগ, সিলিয়াক ডিজিজ়ের কারণেও শুক্রাশয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বহু ক্ষণ ধরে সাইকেল চালানো, অতিরিক্ত তাপের সামনে বসে কাজ করা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও শুক্রাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২) ক্যানসার রোগে ব্যবহৃত ওষুধ, পেশি তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত অ্যালকনিক স্টেরয়েড, সাইমেটাকিন নামক অম্বলের ওষুধ, গ্লাইরোকেল্যারুটোন নামক ওষুধ থেকেও পুরুষের বন্ধ্যত্ব হতে পারে।
মানসিক চাপ ডেকে আনতে পারে অনিদ্রা ও হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা। ছবি: শাটারস্টক।
৩) একাধিক গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপের ব্যবহারে পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা হতে পারে।
৪) শুক্রাণুর সংক্রমণ হলে তাঁর নড়াচড়ার ক্ষমতা লোপ পায়। ফলে বন্ধ্যত্ব অবধারিত। ওষুধের সাহায্যে শুক্রাণুর সংক্রমণ সারানো যায়। কিছু ক্ষেত্রে শুক্রাণুর কাউন্টও বাড়ানো সম্ভব হয়। তবে শুক্রথলি বা টেস্টিসের কার্যকারিতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেলে তার চিকিৎসা করা মুশকিল। ন্যূনতম ২ কোটি শুক্রাণু না থাকলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে।
৫) ইদানীং অনেকটাই গতিময় হয়ে গিয়েছে কর্মজীবন। তবে শুধু কাজেরই নয়, অনেক সময় মাথায় থাকে পারিবারিক নানান চাপও। শুধু বাহ্যিক কারণেই নয়, নিজের মনেও মধ্যবয়সে অনেক রকম টানাপড়েন চলে। এই বিষয়গুলি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। মানসিক চাপ ডেকে আনতে পারে অনিদ্রা ও হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যা। ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে যৌনজীবনেও। দেখা দিতে পারে বন্ধ্যত্ব।