হলুদে উপস্থিত কার্কুমিন শরীরের প্রদাহ কমায়। তার প্রভাবে কমে উদ্বেগও।
উদ্বেগের সমস্যা বেড়েছে গোটা বিশ্বেই।
দিন দিন যত গতিময় হচ্ছে জীবন, ততই মানসিক রোগ বাড়ছে। বিশেষ করে গতিময় জীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তায় অস্থির হচ্ছেন অনেকে। ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে উদ্বেগ।
কিন্তু কথায় কথায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। কাজে তার ছাপ পড়ে। কমে কাজ করার ক্ষমতা। তবে ওষুধ খেয়ে উদ্বেগ কমাতে চান না অনেকেই। মনে করেন, এক বার ওষুধ খেতে শুরু করলে তার উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে।
নিয়মিত ধ্যান করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় যে কোনও মানসিক সমস্যা। তবে আরও একটি ঘরোয়া টোটকা রয়েছে। রোজ একটু করে কাঁচা হলুদ খেতে হবে মাত্র। তা হলেই অনেকটা শান্ত থাকবে মন।
দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরেই গবেষণা করছেন ভারতীয় বিভিন্ন মশলার গুণ নিয়ে। দেখা গিয়েছে, হলুদে উপস্থিত কার্কুমিন শরীরের প্রদাহ কমায়। তার প্রভাবে কমে মানসিক চাপও। মনের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শরীর-মন দুই থাকে স্থিতিশীল। কার্কুমিনের আর এক গুণ হল, তা মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। তাতেও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হয় বলে বক্তব্য মনোবিদদের।
কার্কুমিনের আর এক গুণ হল, তা মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। তাতেও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল হয় বলে বক্তব্য মনোবিদদের।
উদ্বেগে ভুগলে রোজ কতটা হলুদ খেতে হবে?
গবেষকেরা দেখেছেন, রোজ ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেলেই যথেষ্ট কাজ হয়। তবে ব্যক্তি বিশেষে হলুদের পরিমাণ কম বা বেশি প্রয়োজন হতে পারে। নিয়ম করে হলুদ খেতে শুরু করার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই যায়।