হাঁটুতে ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। ছবি: সংগৃহীত।
হাঁটুর ব্যথা মানেই তা বেশি বয়সের রোগ। এমনই ধারণা অধিকাংশের। তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, কম বয়সেই এই রোগে ভুগছেন অনেক। অফিসে একই জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা, শরীরচর্চার অভাব মূলত এই ধরনের সমস্যার নেপথ্যে রয়েছে।
কিন্তু হাঁটুব্যথা করছে বলেই তো রোজ ব্যথার ওষুধ খেতে পারবেন না। তাতে আরও নানা রকম শারীরিক সমস্যা বাড়বে। ফলে ঘরোয়া কিছু উপায় বার করতে হবে, যাতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। জীবনযাপনে কিছু বদল অনেক কষ্ট কমিয়ে দিতে পারে। আর সঙ্গে যদি থাকে ঘরোয়া কিছু টোটকা, তবে তো সমস্যাই নেই। কী করবেন নিয়মিত হাঁটুব্যথা হলে?
১) আগে বুঝতে হবে ব্যথার ধরন। কোনও চোট পেয়ে ব্যথা বেড়েছে, না কি আর্থরাইটিস— তা বোঝার চেষ্টা করুন। যে কোনও ধরনের ব্যথাই অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিজে যত্ন নিলে। ব্যথার ধরন বুঝে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করুন।
২) সব সময়ে চোট লেগেই ব্যথা হবে, এমন নয়। হাঁটুব্যথার একটি বড় কারণ হল ওজন। শরীরের ভার যত বাড়বে, হাঁটুর উপর তত চাপ পড়বে। তার থেকে ব্যথাও বেশি হবে। ওজন কমানোর সব রকম চেষ্টায় মন দিন। তাতে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।
৩) হাঁটুতে এক বার ব্যথা হলে সহজে কমতে চায় না। তাই কিছু ব্যায়ামেরও সাহায্য নিন। তাতে ব্যথার হাঁটুর পেশি নমনীয় থাকবে। তা হলে ব্যথা কমতে কম সময় লাগবে। হালকা হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা যোগব্যায়াম— যে কোনওটিই করা যেতে পারে নিয়ম মেনে। তবে চোট লেগে থাকলে এ ধরনের ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৪) হাঁটুতে ব্যথার কারণ যা-ই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবেই। তবে কখনওই সরাসরি বরফ দেওয়া ঠিক নয়। হয় কোনও আইস প্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনও কাপড়ে বরফ বেঁধে নিন। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পরে হালকা করে কোনও ব্যথার মলম লাগিয়ে রাখুন। আরাম হবে।