ক্যালোরির পরিমাণ কম কিন্তু ভরপুর প্রোটিন রয়েছে, এমন কয়েকটি খাবার পাতে রাখা জরুরি। প্রতীকী ছবি।
কড়া ডায়েট করে ওজন কমে, কিন্তু শরীরে শক্তি তো থাকা দরকার। কাজ করার ক্ষমতা তো চাই। তার জন্য শরীরের চাই পর্যাপ্ত প্রোটিন। প্রোটিন কম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শরীর সচল রাখা কঠিন। ছিপছিপে কিন্তু কর্মঠ থাকতে তাই প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দ্রুত মেদ ঝরাতে ক্যালোরি কম খেলেই ভাল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাই ক্যালোরির পরিমাণ কম কিন্তু ভরপুর প্রোটিন রয়েছে, এমন কয়েকটি খাবার পাতে রাখা জরুরি।
ছানা
দুধ দিয়ে ছানা বাড়ির হেঁশেলেই তৈরি করে নেওয়া যায়। যে দুধে ফ্যাটের পরিমাণ কম, তা ব্যবহার করতে পারেন। ছানায় প্রোটিনের পরিমাণ অনেক। কিন্তু ক্যালোরি নেই বললেই চলে। নানা মরসুমি সব্জি, স্বাস্থ্যকর মশলা দিয়ে হালকা অলিভ অয়েল দিয়ে নাড়াচাড়া করে খেতে পারেন।
গ্রিক ইয়োগার্ট
ডায়েটের তালিকায় রাখা যেতে পারে গ্রিক ইয়োগার্ট। ক্যালোরি থাকলেও তার পরিমাণ খুবই কম হয়। প্রোটিনও রয়েছে। শরীরে প্রোটিনের পর্যাপ্ত জোগান দিতে এই দই খেতে পারেন। গ্রিক ইয়োগার্টের সঙ্গে কয়েকটি বেরি মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ডিমের সাদা অংশ
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও চিকিৎসকেরা ডিমের সাদা অংশটি খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়। কুসুমের চেয়েও সাদা অংশটি বেশি প্রোটিন সমৃদ্ধ। ক্যালোরিও নেই। ওজন কমাতে চাইলে রোজের পাতে ডিমের সাদা অংশ রাখা জরুরি।
চিয়া পুডিং
শেষ পাতের স্বাস্থ্যকর মিষ্টিমুখ হতে পারে চিয়া বীজ দিয়ে বানানো পুডিং। দুধ দিয়ে বানানো এই পুডিং স্বাস্থ্যকর তো বটেই, একসঙ্গে সুস্বাদুও। চিয়া ওজন কমাতে সক্ষম। নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। প্রোটিনও আছে। আবার ক্যালোরিও নেই। রোগা হওয়ার এর চেয়ে ভাল খাবার আর হতে পারে না।
পিনাট বাটার
পিনাট বাটার আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে পারে যদি তাতে ওট্স, চিয়া আর তিসির বীজও মেশান। সকালে পাউরুটির সঙ্গে মাখিয়ে খেলে বেশ অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। বার বার খাবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে। স্বাদ মিষ্টি হলেও ক্যালোরি নেই। বরং প্রোটিন আছে অনেকটা পরিমাণে।