Income Tax Return

প্যান, আধার থেকে ফর্ম ১৬, আয়কর রিটার্ন জমা করার সময়ে হাতের কাছে রাখতে হবে কী কী নথি?

কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হবে আয়কর রিটার্ন জমা নেওয়ার কাজ। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পেশাদার করদাতাদের এর জন্য লাগবে কী কী নথি?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১১
Share:
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তার পরই শুরু হবে আয়কর (ইনকাম ট্যাক্স বা আইটি) রিটার্ন জমার কাজ। এ বার ২০২৫-’২৬ মূল্যায়ন বছরের কর জমা নেবে কেন্দ্র। বিগত দিনের মতো অনলাইনে আইটি রিটার্ন জমা করার সুযোগ পাবেন করদাতারা। তবে সেই কাজ করার সময়ে বেশ কিছু নথি হাতের কাছে থাকা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদনে রইল সেগুলির হদিস।

Advertisement

আইটি রিটার্ন জমা করতে বাধ্যতামূলক ভাবে লাগবে পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর বা প্যান। করদাতাকে আধারের সঙ্গে প্যান সংযুক্ত করতে হবে। এটিও বাধ্যতামূলক। আধারের তথ্যের সাহায্যে করদাতার পরিচয় যাচাই করে থাকে আয়কর দফতর। ই-ভেরিফিকেশনের জন্যেই এর প্রয়োজন পড়বে।

চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার সময়ে লাগবে ফর্ম-১৬। নিয়োগকারী সংস্থার থেকে এটি পাবেন তাঁরা। এই ফর্মে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রাপ্ত বেতন এবং ট্যাক্স ডিডাকশান অ্যাট সোর্স বা টিডিএসের তথ্যের উল্লেখ থাকে। চলতি বছরের ১৫ জুনের মধ্যে নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে ওই ফর্ম বিলি করতে বলেছে কেন্দ্র।

Advertisement

এ ছাড়া বার্ষিক তথ্য বিবরণী বা অ্যানুয়াল ইনফরমেশান স্টেটমেন্ট (এআইএস) সম্বলিত ফর্ম ২৬ করদাতাদের হাতের কাছে রাখতে হবে। এতে সুদ, লভ্যাংশ বা শেয়ারে লেনদেন থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়ের বিস্তারিত তথ্যের বিবরণ থাকে। এই ফর্মটিতেও টিডিএস সংক্রান্ত তথ্য পাবেন করদাতা। ফলে আইটি রিটার্ন জমা করার সময়ে এগুলি ভাল করে দেখে নিতে হবে।

পাশাপাশি, ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট করদাতার কাছে থাকা জরুরি। চাকরিজীবীদের বড় অংশই ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট) এবং রেকারিং ডিপোজিটে লগ্নি করে থাকেন। তাঁদের অন্য জায়গাতেও বিনিয়োগ থাকতে পারে। সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই আয়কর রিটার্ন জমা করার সময়ে প্রয়োজন হবে।

বর্তমানে দেশে দু’টি কর কাঠামো চালু রয়েছে। একটি নতুন এবং অপরটি পুরনো। শেষেরটিতে আয়কর আইনের ৮০সি এবং ৮০ডি ধারায় ছাড় পান করদাতা। আর তাই আইটি রিটার্ন জমা করার সময়ে জীবন বিমা, মিউচুয়াল ফান্ড, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় লগ্নি সংক্রান্ত তথ্য হাতের হাতে মজুত রাখতে হবে।

এ ছাড়া গৃহঋণ, বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য, ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে লাভ-লোকসানের হিসাব এবং গুড্‌স অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি সংক্রান্ত তথ্য আয়কর রিটার্ন জমা করার সময়ে উল্লেখ করতে হবে। যাঁরা আগাম কর প্রদান করেছেন, তাঁরা চালানের তথ্য জানাতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement