কার্বোহাইড্রেট মাত্রেই অস্বাস্থ্যকর নয়। ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যসচেতন বাঙালি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খানিক এ়ড়িয়ে চলেন। ওজন বে়ড়ে যাওয়ার ভয় তো আছেই। সেই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট শরীরের আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই অত্যন্ত সচেতন ভাবেই কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়ার চেষ্টা করেন অনেকেই। তবে কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার অনেকের জন্যই উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকা ভুল নয়। তবে কিছু খাবার কার্বোহাইড্রেট থাকা সত্ত্বেও অত্যন্ত উপকারী। কার্বোহাইড্রেট আছে বলে সেগুলি না খাওয়া বরং বোকামি।
কলা
কলার মতো উপকারী ফল খুব কমই আছে। পাকা কলায় প্রায় ৩১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এ ছাড়াও, কলায় আছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬। পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে কার্বোহাইড্রেটের কারণে কলা খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না।
মিষ্টি আলু
সুক্তো হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, মিষ্টি আলু পড়লে রান্নার স্বাদ বদলে যায়। এটা ঠিক যে, আধ কাপ মিষ্টি আলুতে প্রায় ২১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়ামের ভাণ্ডার হল মিষ্টি আলু। এই উপাদানগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এগুলির জুড়ি মেলা ভার।
বিট
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিট অত্যন্ত উপকারী একটি সব্জি। এক কাপ বিটে প্রায় ১০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। তা সত্ত্বেও নির্ভয়ে বিট খাওয়া যায়। কারণ বিভিন্ন খনিজ ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর বিট রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে।
কিনোয়া
কিনোয়া এক ধরনের পুষ্টিকর বীজ। ইদানীং স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিনোয়াতে রয়েছে ৭০ শতাংশ কার্বহাইড্রেট। তা ছাড়া, এতে কোনও গ্লুটেন নেই। তাই এটি আটার রুটির বিকল্প হিসাবেও খাওয়া যেতে পারে।
ওট্স
ভিটামিন, বিভিন্ন খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের একটি দুর্দান্ত উত্স হল ওট্স। এক কাপ কাঁচা ওট্সে ৭০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থাকে। গবেষণায় বলা হয়েছে, নিয়মিত ওট্স খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়। কোলেস্টেরলের রোগীরা অনায়াসে ওট্স খেতে পারেন।