সাধারণ পেটব্যথাও বিপদ আনতে পারে। ছবি: শাটারস্টক
শারীরিক অসুস্থতার কারণে পেটে ব্যথা কমবেশি অনেকেরই হয়। কিন্তু পেটে ব্যথা বড় কোনও অসুখের ইঙ্গিত কি না, সব সময়ে বোঝা যায় না। যেমন অ্যাপেনডিক্স। বৃহদন্ত্রের সঙ্গে লাগানো এই ছোট থলির আলাদা করে কোনও কাজ নেই। কিন্তু অ্যাপেডিক্সে সংক্রমণ হলে ঠিক সময়ে চিকিৎসা করিয়ে অস্ত্রোপচার না হলে প্রাণসংশয় পর্যন্ত হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময়ে কোনও খাবারের টুকরো ঢুকে বা অন্য কোনও কারণে ওই থলির মতো অংশটির মুখ যদি আটকে যায়, তা হলে সেই অংশে সংক্রমণ ঘটে। জায়গাটা ফুলে ওঠে, ব্যথা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায়, এটাই অ্যাপেন্ডিসাইটিস। অনেক সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও এই রোগ হতে পারে। সাধারণত ১০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বেশি দেখা যায়। এর পরে বয়স যত বাড়বে, অ্যাপেন্ডিক্স আরও ছোট হয়ে শুকিয়ে যায়।
জানেন কি, কী কী উপসর্গ দেখলেই বুঝবেন, পেটের এই ব্যথা অ্যাপেনডিক্সের? চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্যা হলে পেটে ব্যথা ছাড়াও বেশ কিছু উপসর্গ দেখা যায়। ব্যথার ধরনও অন্য রকম হয়।
এই প্রকার সংক্রমণ হলে জিভে কোনও স্বাদই ভাল লাগে না, তাই খাদ্যে অরুচি দেখা দেয়। ছবি: শাটারস্টক
অ্যাপেনডিক্সে সংক্রমণ হলে তলপেট ফুলে ওঠে, সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হয় ও ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। অ্যাপেনডিক্স তলপেটের ডান দিকে থাকে। তাই এই ব্যথা সাধারণত, নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে তলপেটের ডান দিকে ছড়াতে থাকে। এর সঙ্গে কুঁচকির উপরের অংশেও ব্যথা হতে পারে। সংক্রমণ শুরুর দিকে অল্প ব্যথা থাকলেও সঙ্গে বমি হয়। সারা ক্ষণই বমিভাব থাকে।
এই প্রকার সংক্রমণ হলে জিভে কোনও স্বাদই ভাল লাগে না, তাই খাদ্যে অরুচি দেখা দেয়। কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এই সংক্রমণের শুরুতে ডায়েরিয়া দেখা যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে। তলপেটের ডান দিকে ব্যথার সঙ্গে ঘুসঘুসে জ্বর হওয়াও এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।