ভরপেট খেয়েই শুয়ে পড়লে, হজমের সমস্যা হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
খাবার খেলেই হল না, আপনি কখন খাচ্ছেন তার উপরেও শরীরের ভালমন্দ নির্ভর করে। খাওয়ার পর তা হজম করতে শরীরের একটা নির্দিষ্ট সময় লাগে। রাতের খাওয়া সেরেই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দু’ থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে ফেলাই ভাল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতে সঠিক সময়ে খাওয়া-দাওয়ার করার কোনও বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞেরা সাতটা থেকে আটটার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভরপেট খেয়েই শুয়ে পড়লে, হজমের সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে খাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাচলা করুন, বা়ড়ির অন্য কাজ করুন। তা হলে হজমেও সুবিধা হবে, আবার ঘুমও তাড়াতাড়ি আসবে। শরীর চাঙ্গা থাকবে। দূর হবে নানা রোগব্যাধি।
রাত ৮টার আগে কেন খাবেন?
ওজন কমে
খুব রাতে খেলে অনেক খাবারই হজম করতে সমস্যা হয়। বদহজমের কারণে পেট ফুলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। খাওয়াদাওয়া সাতটার মধ্যে সারলে শরীর ক্যালোরি খরচ করার অনেক বেশি সময় পায়। ফলে হজম ভাল হয়। আর হজমক্ষমতা বাড়লেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রতীকী ছবি
রাতে ভাল ঘুম হয়
বেশি রাত করে অত্যধিক তেল, মশলাদার খাবার খেলে বদহজম অবধারিত। আর সেই কারণে পেটে, বুকে জ্বালা, যন্ত্রণা হতে পারে। ফলে ঘুমের বারোটা বাজে। রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলে ঘুমটাও ভাল হয়।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, পিসিওডি এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের রাতে হালকা খাওয়ার পাশাপাশি তাড়াতাড়ি খাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। ভারতীয়রা রাতে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে অভ্যস্ত। ডাল, পাপড়, শাকসব্জি থেকে শুরু করে মাংস সব রান্নাতেই নুন ব্যবহার করা হয়। নুন শরীরে বেশি মাত্রায় গেলে তা জল ধরে রাখে। ফলে পেট ফুলে শরীরে অস্বস্তি হয়। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ে। হার্টের সমস্যাও হতে পারে।
শরীরের টক্সিন দূর হয়
বেশি রাত করে খেলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে। পেট ফোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য, শরীরে মেদের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, স্ট্রেচ মার্ক সবই এই টক্সিনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া।