ডায়াবেটিকদের রোজের ডায়েটে কী সব্জি রাখলে উপকার পাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বিশেষণ হিসাবে কাউকে ‘ঢ্যাঁড়শ’ বললে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি মোটেই খুশি হন না। উল্টে কেউ কেউ রেগেও যান। তবে ঢ্যাঁড়শকে এমন হেলাফেলা করার কোনও কারণ নেই, এই সব্জির গুণ অনেক। অদ্ভুত শোনালেও, অনেক পুষ্টিবিদের মতে, ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এই সব্জিটি কিন্তু ভাল দাওয়াই হতে পারে। খাওয়াদাওয়া নিয়ে এমনিতেই ডায়াবিটিস রোগীদের চিন্তার শেষ নেই। কী খাওয়া যাবে আর কী খাওয়া যাবে না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হয় সব সময়ই। তাই হাতের কাছেই যদি এমন সমাধান মেলে, তবে ছাড়া চলবে না কোনও মতেই।
কী ভাবে খাবেন?
৪-৫টি ঢ্যাঁড়শ ভাল করে ধুয়ে নিন। প্রান্তগুলি কেটে বাদ দিয়ে দিন প্রথমে। এর পর ছুরির সাহায্যে লম্বালম্বি ভাবে চিরে ফেলুন এক একটি ঢ্যাঁড়শ। একটি কাচের বয়ামে জল ভরে ঢ্যাঁড়শের টুকরোগুলি দিয়ে দিন। সারা রাত এই ভাবে ভিজিয়ে রাখুন ঢ্যাঁড়শগুলি। সকালে জলটি ভাল করে ছেঁকে নিন। নিয়মিত এই পানীয়ে চুমুক দিলেই শরীর থাকবে চাঙ্গা।
ঢ্যাঁড়শে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেটে ভরপুর মাত্রায় থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
ঢ্যাঁড়শে ফাইবার, ভিটামিন বি৬ এবং ফোলেটে ভরপুর মাত্রায় থাকে। ভিটামিন বি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রাখে হোমোসিস্টেইনের মাত্রা। এই উপাদানটি রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ঢ্যাঁড়শে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবারই থাকে। ফাইবার পাচনের প্রক্রিয়ার গতিবেগ কমায়। ফলে খাবার খাওয়ার পর ধীরে ধীরে বাড়ে রক্তের শর্করার পরিমাণ। আর এই সব কিছুর সঙ্গে সঙ্গে ঢ্যাঁড়শের ক্যালোরির মাত্রাও বেশ কম।
এ ছাড়া ঢ্যাঁড়শে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো উপাদানগুলি শরীরের প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। বসন্তকালে রোগবালাই ঠেকাতে নিয়মিত এই সব্জি খাওয়া যেতে পারে। ফাইবার বেশি মাত্রায় থাকার কারণে এই সব্জি খেলে পেটও পরিষ্কার হয়।