চিপ্স মানেই প্রক্রিয়াজাত এবং সোডিয়ামে ভরপুর একটি খাবার। ছবি: সংগৃহীত
বয়স নির্বিশেষে চিপ্স খেতে অনেকেই ভালবাসেন। তবে চিপ্স মানেই অনেকের কাছে অস্বাস্থ্যকর খাবার। চিপ্স মানেই প্রক্রিয়াজাত এবং সোডিয়ামে ভরপুর একটি খাবার। কিন্তু তাই বলে কি চিপ্সের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকবেন? স্বাদ ও স্বাস্থ্যের একসঙ্গে যত্ন নিতে হলে ভরসা রাখতে পারেন কাঁচকলার চিপ্সের উপর। বিশেষ করে এই গরমে ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। সন্ধের জলখাবারে চায়ের সঙ্গে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কলার চিপস। কলায় আলুর তুলনায় অনেক বেশি খনিজ লবণ পাওয়া যায়। তাই এটি আলুর চিপ্সের থেকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কলা পাতলা পাতলা করে কেটে চিনির সিরাপ, নুন, চাট মশলা ও গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে তৈরি একটি মিশ্রণে ভাল করে চুবিয়ে বেক করে নিতে পারেন।
প্রতীকী ছবি
ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা এই মুখরোচক অথচ স্বাস্থ্যকর চিপ্স শরীরও যত্নে রাখতে সাহায্য করে। এক কাপ কলার চিপ্সের মধ্যে থাকে ১.৬ গ্রাম প্রোটিন, ৪.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫.৫ গ্রাম ফাইবার। পটাশিয়ামের পরিমাণ প্রায় ৮ শতাংশ। কলার চিপ্সে রয়েছে ১১ শতাংশ ভিটামিন বি৬। অফিসে কাজের ফাঁকে মাঝেমাঝেই টুকটাক মুখ চালাতে ইচ্ছে করে। সেই সময় অনেকেই বেছে নেন বাইরের ভাজাভুজি, তেলেভাজা। তাতে শরীরের ক্ষতি হয়। তাই হঠাৎ খিদে পাওয়া সামাল দিতে সঙ্গে রাখতে পারেন কাঁচকলার চিপ্স। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মিনারেলস, ভিটামিন। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে কাজ করার ফলে অনেক সময় দুর্বল লাগে। নিজেকে চাঙ্গা করতে খেতেই পারেন কাঁচকলার চিপ্স। ডায়াবিটিসে আক্রান্তরাও এই চিপ্স খেতে পারেন। ডায়াবিটিক রোগীদের আলু খাওয়া মানা। সে ক্ষেত্রে চিপ্সের স্বাদ পেতে হলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন কাঁচকলার চিপ্স। তবে সে ক্ষেত্রে চিপ্স তৈরির সময় চিনির সিরাপ এড়িয়ে চলুন। পাতলা করে কেটে শুকিয়ে বাকি মশলা মাখিয়ে বেক করে নিতে পারেন।