Humidity Increases Heat Risk

গরমে গলদঘর্ম হয়ে অসুস্থতার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে শহরাঞ্চলে, জানাচ্ছে গবেষণা

হিট স্ট্রেস বা এই গরমে ক্লান্তি ঘিরে ধরার নেপথ্যে রয়েছে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রার প্রভাব।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২১
Share:

গ্রীষ্মকালে আর্দ্রতা যত বাড়ে, ততই বেশি ঘাম হয়। ছবি- সংগৃহীত

বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে গড় তাপমাত্রা। যার প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়ছে শহরাঞ্চলে। গ্রীষ্মের মাসগুলিতে বেশি শরীর খারাপ হয় তাপমাত্রা বাড়ার জন্যই। তার সঙ্গে দোসর আর্দ্রতা। আর্দ্র আবহাওয়া অনেকটাই প্রভাব ফেলে শরীরের উপর। হালের গবেষণা অন্তত তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গ্রীষ্মকালে আর্দ্রতা যত বাড়ে, ততই বেশি ঘাম হয়। শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। আর ঘিরে ধরে ক্লান্তি এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যাও। ‘নেচার’ পত্রিকায় এই তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি ‘ইয়েল স্কুল অফ দ্য এনভায়রনমেন্ট সায়েন্টিস্ট’-এর একদল গবেষক জানিয়েছেন, হিট স্ট্রেস বা এই গরমে ক্লান্তি ঘিরে ধরার নেপথ্যে রয়েছে সেই অঞ্চলের তাপমাত্রার প্রভাব। গবেষক শুহুই লি বলেন, “শুধু গরমেই শরীর ক্লান্ত হয় না, বাতাসের আর্দ্রতা প্রভাব ফেলে আপনার শরীরের উপর। শহরাঞ্চলে বসবাসকারী বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই আর্দ্রতা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা গিয়েছে।”

যত বেশি আর্দ্র হয় বায়ু, ততই অস্বস্তি হয় শরীরে। যে সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে, সে দিন ঘাম শুকোতে সময় নেয়। দিনভর চটচটে ভাব যেন সর্বত্র। এ দিকে, দিনভর ঘাম না শুকোলে শরীরও শীতল হয় না। শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যেতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। শরীর অচল হয়ে যায়। সে কারণেই বাতাসের আর্দ্রতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে বলেন চিকিৎসকরাও। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৫ শতাংশই শহরে বসবাস করেন। ২০৫০ সালের মধ্যে সেই পরিসংখ্যান গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ শতাংশে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তাই গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। একমাত্র এই উপায়েই বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা থেকে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement