হার্টের সমস্যা হলে একদম বুকের মাঝখানে চাপ ধরা ব্যথা হবে। ছবি: শাটারস্টক।
বুকে ব্যথা হলেই সকলের ধারণা হয়, হার্টের কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে। তবে বুকে ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ নয়। অম্বল-গ্যাসের কারণে, এমনকি মানসিক চাপের জন্যও তো বুকে ব্যথা হতে পারে। হার্টের সমস্যার জন্যই যে ব্যথা হচ্ছে, বুঝব কী করে?
ব্যথার ধরনটা বুঝতে হবে। হার্টের সমস্যা হলে একদম বুকের মাঝখানে চাপ ধরা ব্যথা হবে। মনে হবে বুকের মধ্যে কিছু চেপে বসে আছে। ব্যথাটা চোয়াল, ঘাড় বা পিঠের দিকে যেতে পারে। একে বলে অ্যানজ়াইনাল পেন। এই ব্যথা অন্তত মিনিট কুড়ি থাকবে। তার সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাম হবে। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মুখটা ফ্যাকাশে বা কালচে হয়ে যেতে পারে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসবে। এই রকম উপসর্গ হলে বুঝতে হবে ব্যাপারটা হার্ট অ্যাটাকের দিকে গড়াচ্ছে।
কী কী কারণে বুকে ব্যথা হয়?
অম্বল: শীতকাল মানেই ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া। এই মরসুমে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে। আর এই কারণে বুকে জ্বালা এমনকি, বুকে চাপও অনুভূত হয়।
মানসিক চাপ: অনেক সময়ে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে ঘাম হয়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একই কারণে অনেক সময় বুকে ব্যথাও হয়।
ইসোফেজিয়াল পেশির খিঁচুনি: হঠাৎ বুকে ব্যথার সঙ্গে খাদ্যনালির অস্বাভাবিক সঙ্কোচন এবং চেপে ধরাকে কার্ডিয়াক অরিজিন ব্যথা বলে ভুল করে বসেন অনেকেই।
হাঁটাচলা করতে করতে শরীরচর্চার সময়ে এমনকি, বিশ্রামরত অবস্থাতেও দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগের উপসর্গ।
তবে বুকে ব্যথা হলে অযথা অবহেলা করা উচিত নয়। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথার পাশাপাশি অনেক সময়ে কাঁধে ব্যথা শুরু হয়। তার পর তা হাতেও ছড়িয়ে পড়ে। চোয়ালে ব্যথা করে। পেটের উপরের দিকেও ব্যথা হতে পারে। হাঁটাচলা করতে করতে শরীরচর্চার সময়ে, এমনকি, বিশ্রামরত অবস্থাতেও দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগের উপসর্গ। বুকে চাপ ধরা, শ্বাসকষ্ট, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, ঘাম হওয়া, নাড়ির গতি বেড়ে যাওয়া, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ অবহেলা করবেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকে অ্যান্টাসিড খেয়ে নিজের চিকিৎসা করার চেষ্টা করেন। তা না করে রোগীকে অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাইয়ে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে কাছাকাছি হার্টের চিকিৎসার সুবিধাযুক্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।