ছবি: সংগৃহীত।
গরম সারা রাত ঠিক করে ঘুম হচ্ছে না। ভোরের দিকে ঠান্ডা হাওয়ায় একটু চোখ জুড়িয়ে আসছে। স্বস্তির ঘুম ছেড়ে তা়ড়াতা়ড়ি বিছানা ছেড়ে শরীরচর্চা করতে জিমে যেতে ইচ্ছা করে না। তা ছাড়া গরমে এমনিই সারা ক্ষণ ঘাম ঝরছে। তার উপর আলাদা করে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করে ঘাম ঝরানোর মতো শারীরিক শক্তি থাকে না। গরমে এমনিতেই ক্লান্তি ঘিরে থাকে সারা ক্ষণ। কায়িক পরিশ্রম করলে সে ক্লান্তি আরও বেড়ে যায়। শরীরচর্চাতেও ব্যাপক শারীরিক পরিশ্রম হয়। তাই গরমে ওজন কমানোর অন্য উপায় খুঁজে বার করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে ৩ স্মুদি ভরসাযোগ্য হতে পারে। গরমে পেটও ঠান্ডা থাকবে। আবার ওজনও কমবে।
স্ট্রবেরি, ওট্স ও চিয়াবীজের স্মুদি
পেটের মেদ ঝরাতে স্ট্রবেরির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে থাকা ফাইবার ওজন ঝরাতে সহায়তা করে। ক্যালোরির অনুপাতও খুবই কম। ওট্সে পেট ভরা থাকে অনেক ক্ষণ। তাই অন্য কিছু খেয়ে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও সহায়তা করে ওট্স। চিয়াবীজে রয়েছে এমন ধরনের ফাইবার, যা শরীরের ক্লান্তি কাটায়। স্ট্রবেরি স্মুদিতে চিয়াবীজ মেশালে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে।
কমলা লেবু, পাতি লেবু এবং তিসিবীজের স্মুদি
কমলা লেবুর রসে ক্যালোরি খুবই কম। এমনকি ফ্যাটও নেই। ওজন কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার। ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারাটেনয়েড, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ বার করে দেয়। অন্য দিকে তিসির বীজে রয়েছে ফাইবার, যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট রাখতে সহায়তা করে। ঘন ঘন খিদে পায় না। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায়, শরীরের অপ্রয়োজনীয় মেদ জমতে দেয় না। পাতি লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি করে।
শসা, তরমুজ ও জিরের স্মুদি
শসাতে ফ্যাট নেই। ক্যালোরির পরিমাণও কম। যাঁরা চটজলদি ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা খুব উপকারী। এ ছাড়া শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা বিপাকহার বাড়িয়ে ওজন ঝরাতে সহায়তা করে। তরমুজও কম ক্যালোরিযুক্ত ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যা শরীরের জন্য উপকারী। জিরে শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং খিদে মেটায়। তাই ওজন ঝরাতে এই স্মুদি খুবই কার্যকর।