— প্রতীকী চিত্র।
গরম পানীয় হিসাবে চা বেশ জনপ্রিয়। চা খেতে ভাল লাগে বলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান, সেখানকার চা চেখে দেখেন। বাড়িতেও নানা রকম চা পাতা মিশিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেন। চা পাতার গন্ধে, উষ্ণতায় সারাদিনের ক্লান্তি, অবসাদ ধুয়ে যায়। দুধ এবং চিনি ছাড়া দার্জিলিং টি, ফার্স্ট ফ্লাশ, সেকেন্ড ফ্লাশ, গ্রিন টি, মিন্ট টি, ওলং টি, আর্ল গ্রে— সবই চেখে দেখেছেন। কিন্তু কেশর দেওয়া চা কখনও খেয়েছেন কি? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কার্বোহাইড্রেট, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই উপাদানের অনেক গুণ। কেশর দেওয়া চায়ের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে অনেকে আদা, দারচিনি, পাতিলেবুও মিশিয়ে নিতে পারেন।
কেশর দেওয়া চা খেলে শরীরে কী কী উপকার হয়?
১) অবসাদ
সারাদিন অফিসে পরিশ্রম করার পর কেশর দেওয়া চা খেলে এক নিমেষে ক্লান্তি দূর হয়ে যেতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কেশরের গন্ধে মানসিক অবসাদও কেটে যায়।
২) হার্টের রোগ
কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও দারুন কাজ করে কেশর চা।
৩) ক্যানসার প্রতিরোধী
অনেকের ধারণা, কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টিকারসিনোজেনিক যৌগ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। নিয়মিত কেশর দেওয়া চা খেলে ক্যানসারের মতো মারণরোগ ছড়িয়ে পড়ার গতি শ্লথ হয়।
৪) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত স্যাফরন টি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কেশরের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে। কেশরের গন্ধে মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে রক্তচাপের উপর তার প্রভাব পড়ে না।
৫) বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে কালচে ছোপ পড়তে পারে। ত্বক হারিয়ে ফেলতে পারে স্থিতিস্থাপকতা। ফলে বলিরেখার সমস্যাও দেখা যায়। কেশর চা খেলে এই সব সমস্যাকে রাখা যায় হাতের মুঠোয়।