তবে মিল্ক চকোলেট নয় সুস্বাস্থ্য পেতে ভরসা রাখুন ডার্ক চকোলেটের উপর। ছবি: সংগৃহীত
একঘেয়ে শরীরচর্চা করেও কোনও ফল মিলছে না। রোগা হওয়ার জন্য কতই না স্বার্থত্যাগ! কেউ পছন্দের বিরিয়ানি ছাড়েন, কেউ বা আবার সাধের পিৎজার মায়াও ত্যাগ করেন। কিন্তু চকোলেট? ছোট থেকে বড় চকোলেট পছন্দ করেন না এমন মানুষ হাতে গোনা।
আপনিও কি চকোলেটের ভক্ত? কিন্তু এক টুকরো চকোলেট খেলেই আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকেন, মনে হয় এই বুঝি অপরাধ করে ফেললেন? সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সেরা উপকরণ হল এই চকোলেট। এমনকি ওজন ঝরাতেও সাহায্য করে এটি। তাই প্রতিদিন চকোলেট খেলে শরীরে ক্ষতি হয়, এমন ধারণা ভুল।
তবে মিল্ক চকোলেট নয় সুস্বাস্থ্য পেতে ভরসা রাখুন ডার্ক চকোলেটের উপর। আসুন জেনে নিই ডার্ক চকলেট খেলে কোন রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
১) ডার্ক চকোলেটের এমন বৈশিষ্ট রয়েছে যা শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে, যার কারণে আপনি ডায়াবিটিসের মতো রোগের শিকার হওয়া থেকেও বাঁচতে পারেন।
প্রতীকী ছবি
২) চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। আসলে কোকোর মধ্যে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়। শরীর, মন চনমনে হয়ে ওঠে যার ফলে চিন্তাশক্তি ও কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। অনেক বিজ্ঞানীরা আবার মনে করেন দীর্ঘদিন স্মৃতিশক্তি অটুট রাখতে চকোলেট দারুণ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব মহিলা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি চকোলেট খান তাঁরা স্ট্রেস মুক্ত থাকেন। তাঁরা বুদ্ধিদীপ্ত, হাসিখুশি সন্তানের জন্ম দেন।
৩) ডার্ক চকোলেটকে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ সবল রাখতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন দু’-তিন টুকরো চকোলেট খেলে তা হৃদযন্ত্রের জন্য খুব ভাল।
৪) বার্ধক্যের প্রভাব কমাতেও ডার্ক চকলেটের বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই যাঁরা বয়স বাড়ার প্রভাব কমাতে চান, তাঁরা অবশ্যই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এটি অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৫) যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন রোগীরাও তারা ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬) ডার্ক চকোলেট খেলে মিষ্টি, নোনতা, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টুকরো ডার্ক চকেলেট খেয়ে ফেলতে পারেন। এতে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে আর মিষ্টি খাওয়ার সাধও পূরণ হবে।