Coriander Benefits

ডাল, মাছের ঝোলে ধনেপাতা দিচ্ছেন তো? কত যে পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না

ধনেপাতা স্বাদে যেমন খাসা, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের রোগীরাও নিশ্চিন্তে রান্নায় ধনেপাতা খেতে পারেন। রান্নার সময় রোজ যে একমুঠো ধনেপাতা কুচি ডালে, মাছের ঝোলে, তরকারিতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তার উপকারিতা কত জেনে রাখুন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ০৯:১৫
Share:

ধনেপাতা খেলে কী কী উপকার হয় জানেন। ছবি: ফ্রিপিক।

ডাল, তরকারি বা মাছের ঝোলের উপর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিলেই স্বাদ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ধনেপাতা কুচি ছাড়া মুড়ি মাখা তো ভাবাই যায় না। স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণে নিত্য ব্যবহার্য মশলার মধ্যে ধনেপাতা অন্যতম। ধনেপাতা রান্নার স্বাদ, গন্ধ এবং অবশ্যই সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

Advertisement

এ বার দেখে নিই ধনেপাতা কেন স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। ধনেপাতা শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

লিভারকে সুস্থ রাখতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। ধনেপাতা হজমশক্তি বাড়ায়। ডায়াবিটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে রান্নায় ধনেপাতা খেতে পারেন। ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ধনেপাতা।

Advertisement

জানেন কি, ধনেপাতায় ভরপুর পরিমাণে থাকে আয়রন। তাই রান্নায় নিয়মিত ধনেপাতা খেলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি কিছুটা হলেও মিটতে পারে।

হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা কমাতে কাজে আসতে পারে ধনেপাতা। শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বার করে দিতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও ধনেপাতা খুব উপকারী। ধনেপাতার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলি রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে।

ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ধনেপাতা চোখের দৃষ্টি উন্নত করে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও ধনেপাতা খাওয়া উপকারী। ধনেপাতায় থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং পটাশিয়াম যা শরীরে পুষ্টি প্রদান করে।

ধনেপাতায় আছে ভিটামিন সি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ও রোগের সঙ্গে শরীর যাতে লড়তে পারে তার জন্যে শরীরকে ভিতর থেকে করে মজবুত করে তুলতে পারে। গ্যাস-অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যায় যাঁরা ভুগে থাকেন নিয়মিত ধনেপাতা খেলে এইসব সমস্যা দূর হতে পারে।

তবে মনে রাখতে হবে সবার শরীর সমান নয়, তাই ব্যক্তিভেদে এক একটি খাবারের প্রতিক্রিয়া এক এক রকম হতে পারে। ফলে কোনও খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement