দারচিনির চা খেলে কী কী উপকার হবে? ছবি: সংগৃহীত।
দারচিনির গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। সুস্বাদু মশলা হিসাবে এর খ্যাতি ছিল অনেক আগে থেকেই। ইদানীং চিকিৎসা বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে দারচিনি খাওয়ার নানা উপকারের কথা।
বাড়িতে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ দিয়ে চা ফুটিয়ে নিশ্চয়ই খেয়েছেন। জানেন কি, দারচিনি চা কতটা উপকারী? চলুন, জেনে নিই।
পুষ্টিবিদদের মতে, দারচিনির চা খুব ভাল ‘ডিটক্স’ পানীয়। অর্থাৎ এই চা শরীর থেকে টক্সিন বার করতে সাহায্য করে। দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। সিলনের দারচিনির পুষ্টিগুণ বেশি বলেই মনে করেন অনেকে। ডায়াবিটিস যাঁদের রয়েছে, প্রত্যেক দিন আধ চা চামচ করে দারচিনি দেওয়া চা খেলে উপকার পাবেন।
দারচিনি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। শরীরে প্রদাহজনিত যে কোনও সমস্যা কমাতে পারে দারচিনি। দেখা গিয়েছে দারচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট খুব বেশি। রোজ খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি উজ্জ্বল হবে আপনার ত্বকও।
দারচিনি মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। রোজ সকালে দারচিনি দেওয়া চা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। শরীরচর্চার পরেও খেতে পারেন দারচিনি দেওয়া চা। তাতেও উপকার হবে। ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পিছনে কতটা কার্যকর দারচিনি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্ব জুড়ে।
দারচিনি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে বানাবেন দারচিনির চা?
সসপ্যানে দু’কাপ জল নিন। তাতে এক ইঞ্চি পরিমাণ দারচিনি দিয়ে ফোটান। মাঝারি আঁচে দেড় থেকে দু’মিনিট ধরে জল ফুটতে দিতে হবে। তার পর আঁচ বন্ধ করে প্যানটি ঢাকা দিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ রেখে দারচিনি ফোটানো জল কাপে (স্বভাবতই ফোটানোর ফলে জলের পরিমাণ কমে আসবে) ঢেলে স্বাদ অনুযায়ী লেবুর রস দিন। এর সঙ্গে মধুও যোগ করতে পারেন। গরম গরম পান করুন। সর্দি, কাশি, জ্বর, গলাব্যথার মতো সমস্যাতেও দারচিনি দেওয়া চা খেলে আরাম পাবেন।