লাল রং শক্তি ও ভালবাসাকে বহন করে বলে মনে করা হয়। ছবি: শাটারস্টক।
সেই প্রাচীনকাল থেকে হিন্দু মহিলারা স্বামীর মঙ্গলকামনার জন্য সিঁথিতে সিঁদুর পরেন। হিন্দু ধর্মে বলা হয়, স্বামীর দীর্ঘ জীবনের কামনা করে মহিলারা সিঁদুর পরেন। লাল রং শক্তি ও ভালবাসাকে বহন করে বলে মনে করা হয়। কিন্তু শুধু কি এটুকুই? জেনে নিন, ঠিক কী কারণে সিঁদুর পরার চল রয়েছে। আদৌ কি এর পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে?
অনেকেই বলে থাকেন, শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেবতা বিরাজমান থাকেন। স্বয়ং ব্রহ্মা কপালে অধিষ্ঠান করেন। ব্রহ্মাকে সম্মান জানাতে ও তুষ্ট রাখতে বিবাহিত মহিলাদের কপালে সিঁদুর পরা শাস্ত্র মতে উচিত।
মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে সিঁদুর। প্রতীকী ছবি।
সিঁদুর পরার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে কি?
সিঁদুর পরার কিছু বৈজ্ঞানিক দিকও রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মতে, সিঁদুর মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহিলারা সাধারণত মাথার মাঝখানে সিঁদুর পরেন, মাথার সেই অংশে গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু থাকে। ঋষিমণিরা সিঁদুরের তিলক কেটে ধ্যানে বসতেন। মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে সিঁদুর। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও নাকি সাহায্য করে সিঁদুর। সিঁদুরের মধ্যে থাকা পদার্থ মাথা ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই সিঁদুর মন ও শরীর উভয়ের জন্য খুবই কার্যকরী। মানসিক উদ্বেগ কমাতেও সাহায্য করে সিঁদুর। অনেক আবার বলেন যৌন চাহিদা বাড়াতেও নাকি সিঁদুরের ভূমিকা আছে।