ঘুম না আসার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে কিছু অভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির দায়িত্ব, অফিসের কাজ, সারা দিনের ব্যস্ততা সামলে রাতে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতেই ঘুম নেমে আসে দু’চোখে। কিন্তু সব সময়ে কি তা-ই হয়? দিনভর অত্যধিক পরিশ্রম করেও রাতে কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না অনেকে। সারা রাত বিছানায় এ দিক-ও দিক করেই কাটিয়ে দেন। ভোরের দিকে হালকা চোখ লেগে এলেও, তা খুব গভীর হয় না। দীর্ঘ দিন এমন চলার ফলে ঘুমের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ঘুম না আসার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। অনেক সময়ে কড়া ক়ড়া ওষুধ খেলে ঘুম আসে না সহজে। তবে এটাই একমাত্র কারণ নয়। অনেক সময়ে কয়েকটি অভ্যাসের কারণে ঘুমের এই ঘাটতি তৈরি হতে পারে।
চা, কফি খাওয়া
অফিস থেকে ফিরে ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই চায়ের কাপে চুমুক দেন। তাতে হয়তো শরীর চাঙ্গা হয়। কিন্তু ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের। চা-কফিতে থাকা ক্যাফিন শরীরে গেলে ঘুম আসতে চায় না সহজে। বদহজমের সমস্যাও তৈরি হয়। রাতে এ ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল। ঘুম ভাল হবে তাতে।
বেশি খেয়ে নেওয়া
নৈশভোজে ভালমন্দ রান্না হয়েছে মানেই যে একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নিতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বেশি খাবার খেলে অনেক সময়ে হজম হতে চায় না। হজম না হলে তার প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। ফলে ঘুম আসতে চায় না। তাই রাতে সব সময়ে হালকা খাবার খাওয়াই ভাল।
সমাজমাধ্যমে সক্রিয় থাকা
সারা দিন কাজের ফাঁকে ঠিক করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম দেখার সুযোগ পান না। ফলে বাড়ি ফিরে মোবাইলে যেন চোখ আটকে যায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মোবাইল ঘাঁটার এমন অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হয়। আর মন এবং মস্তিষ্ক শান্ত না হলে ঘুম আসা কঠিন। তাই ঘুম আসে না বলে গাদা গাদা ওষুধ খাওয়ার আগে এই অভ্যাসগুলি বন্ধ করা জরুরি।