কোনটি বেশি উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর খাওয়াদাওয়া রাশ টানা হয়নি। পুজোর মাস খানেক আগে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই মাথায় হাত। মধ্যপ্রদেশ ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। পুজোর সাজের সঙ্গে ভুঁড়ি একেবারেই বেমানান। তাই দ্রুত পেটের মেদ কমানোর পন্থা খুঁজে বার করতে হবে। স্বাদে-আহ্লাদে তৈরি করা ভুঁড়ি কমাতে খানিকটা বেগ পেতেই হয়। একেবারেই সহজ নয় বিষয়টি। তাই অনেকেই ইতিমধ্যে মেথি ভেজানো জল খেতে শুরু করে দিয়েছেন। যাতে পেট মেদমুক্ত হয়। আবার অনেকের অন্ধ বিশ্বাস, আদা চা খেলে অল্প দিনেই কমে যাবে ভুঁড়ি। তাই রোজ চুমুক দিচ্ছেন আদা চায়ের কাপে। উপকারিতার দিক থেকে এই দুই টোটকায় ভরসা রাখা যেতে পারে। কিন্তু পেটের মেদ কমাতে কোনটি বেশি উপকারী আদা চা না কি মেথি ভেজানো জল?
আদা চা
একটানা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে পেটে মেদ জমতে পারে। তাই সমস্যার উৎসে থেকে সমাধান করতে হবে। আদা চা গ্যাস-অম্বল, পেট ফাঁপার মতো শারীরিক অস্বস্তি থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। এই ধরনের সমস্যা যত কম হবে, শরীরও ভিতর থেকে চাঙ্গা এবং চনমনে থাকবে। পেটে মেদ জমারও ঝুঁকি কমবে। তা ছাড়া আদায় রয়েছে থার্মোজেনিক উপাদান, যা মেদ ঝরানোর পক্ষে সহায়ক। তবে পেটের মেদ কমানো ছাড়াও আদা চা খারাপ কোলেস্টেরল বেশি বাড়তে দেয় না। খারাপ কোলেস্টেরল প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও, ওজন বেড়ে যাওয়ার পরোক্ষ কারণ হতে পারে।
শরীরে জলের ঘাটতিও ভুঁড়ির নেপথ্যে থাকতে পারে। আদা চা সেই ঘাটতি পূরণ করে। জলের পরিমাণ যত বেশি থাকবে শরীরে, সরু কোমরের স্বপ্নপূরণ হবে তত দ্রুত। তাই পেটের মেদ ঝরাতে ভরসা রাখা যেতে পারে আদা চায়ে।
মেথি জল
মেথি ভেজানো জল পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। মেথিতে রয়েছে গ্যালাকটোমেনন নামে বিশেষ এক উপাদান, যা ঘন ঘন খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। তা ছা়ড়া মেথি হজমের গোলমাল কমাতেও সাহায্য করে। হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকা মানেই পেটের মেদ ঝরানো অনেক সহজ হয়ে যায়। ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজি’ জানাচ্ছে মেথি ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। এমনকি বাড়তি ওজনও কমে মেথির গুণে।