কোন ফল খেলে ব্যথা যন্ত্রণা কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের কোথাও ব্যথা হল মানেই চট করে একটা ওষুধ খেয়ে নেন হামেশাই। অনেকেই বলেন, এই অভ্যাস ভাল নয়। কিন্তু ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ে কাজ করাও দায়। ব্যথা কমানোর ওষুধ বেশি খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া স্বরূপ আরও নানা রকম রোগের উপদ্রব দেখা দিতে পারে। তবে, নেটপ্রভাবী এবং চিকিৎসক জেফ উইন্টারমেয়ার সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এই বিষয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তিনি জানান, এই ধরনের ব্যথা-যন্ত্রণা নিরাময়ে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। তাই রোজ না হলেও ডায়েটে অন্তত পাঁচ দিন এই ফলটি রাখতেই হবে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্যথা-যন্ত্রণা নিরাময়ে বিশেষ ভাবে কার্যকর হল ওলেয়িক অ্যাসিড। এই উপাদানটি রয়েছে অ্যাভোকাডোর মধ্যে। এ ছাড়াও এমন কিছু খনিজ রয়েছে যেগুলি পেশির টান ধরা বা ব্যথা-যন্ত্রণা নিরাময়েও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অ্যাভোকাডোর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। তাই প্রদাহজনিত ব্যথা-যন্ত্রণা নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে এই ফলের। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোর মধ্যে আর কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে?
ছবি: সংগৃহীত।
১) এই ফলের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। অ্যাভোকাডোর মধ্যে যে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে তা প্রদাহজনিত ব্যথা নিরাময় করতে সাহায্য করে।
২) ভিটামিন ই, সি এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো উপাদান রয়েছে অ্যাভোকাডোতে। এগুলি আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৩) অ্যাভোকাডোতে যথেষ্ট পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, পেশিতে টান ধরা কিংবা খিঁচ লাগার মতো উপসর্গও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) পেশির কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য ম্যাগনেশিয়ামেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এই খনিজটির উৎস হল অ্যাভোকাডো। কোমর বা পিঠের পেশিতে ব্যথা হলেও এই ফলটি খাওয়া যেতে পারে।