ইউরিক অ্যাসিড হওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তৈরি হয়ে যায়।
পায়ের আঙুলে ব্যথা, গোড়ালিতে কিংবা নানা অস্থিসন্ধি ফুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা— এই সব শারীরিক অসুবিধা আমাদের কাছে নতুন নয়। বরং কর্মব্যস্ত জীবন ও পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস যে সব অসুখকে আরও বড় আকারে ডেকে আনছে, তার মধ্যে অন্যতম রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
ইউরিক অ্যাসিড হওয়া মানেই অনেক ধরনের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তৈরি হয়ে যায়। ধরুন আপনি পালং শাক খেতে ভালবাসেন, কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড থাকলে সেটা খাওয়া চলবে না। এই ভাবেই খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় টম্যাটো, মুসুর ডাল, বিউলির ডাল, পাঁঠার মাংস। টম্যাটো কেচআপ, ঠান্ডা পানীয়, চকোলেট, চিপস, বিস্কুট ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। এইগুলি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে এখন থেকেই সতর্ক হন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যা রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে এই রোগকে জব্দ করা যেতে পারে। এই রোগের প্রকোপ বাড়লে কী কী খাওয়া চলতে পারে?
১) গ্রিন টি: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে সাধারণ চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খেতে পারেন। এই চায়ে ক্যাটেচিন নামক যৌগ থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায়্য করে।
প্রতীকী ছবি।
২) ফাইবারজাতীয় খাবার: ডায়েটে ফাইবারযুক্ত খাবার রাখলে এই রোগে প্রকোপ কমবে। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে খাদ্যতালিকায় ওট্স, গোটা শস্য, ব্রকোলি, কুমড়োর মতো সব্জি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফাইবার রক্তের ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে।
৩) ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাতিলেবু, কমলালেবু, কাঁচা লঙ্কা ডায়েটে বেশি পরিমাণে রাখলে উপকার পাবেন।
৪) ডার্ক চকোলেট: এই প্রকার চকোলেটে থেওব্রোমাইন থাকে। এই যৌগ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাস করে। চকোলেট খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, এমনটা কিন্তু নয়।