ঘরোয়া উপায়ে কুপোকাত করুন ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’-কে।
রাস্তাঘাটে বেরোনো হোক কিংবা ঘরদোর পরিষ্কার করা, যে কাজই করুন না কেন, হেঁচে-কেশে একেবারে একশা! ধুলোবালির প্রভাবে অ্যালার্জি থাকলে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। কারও কারও ক্ষেত্রে চোখ থেকে অনবরত জল পড়াও ডাস্ট অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণ। ধুলোর মধ্যে থাকা নানা আনুবীক্ষণিক জীবের হানায় শরীরে এমন সমস্যা হয়ে থাকে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যালার্জি হলে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসে, ত্বকে র্যাশও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে।এই রোগের শিকার হলে চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। বিশেষ কিছু ওষুধপত্র খেলে ও নিয়ম মেনে চললে এই অসুখ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। চিকিৎসার পাশাপাশি খাওয়ার পাতেও রাখতে হবে এমন কিছু উপাদান, যা অ্যালার্জির সমস্যার বিরুদ্ধে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলবে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
গ্রিন টি: প্রতি দিন চা-কফির অভ্যাসে রাশ টানুন। দিনে দু’ তিন বার গ্রিন টি-তে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। চোখে লাল ভাব, র্যাশ বেরোনোর সমস্যা রুখতে এটি বিশেষ কার্যকর।
দুগ্ধজাত পদার্থ: খাওয়ার পাতে রাখুন টক দই, ছানা, লস্যি। এদের প্রোবায়োটিক উপাদান অসুখের জীবাণুর সঙ্গে যেমন লড়ে, তেমনই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুতরাং, ধুলোবালি থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
প্রতীকী ছবি
হলুদ: হলুদের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপনার ধুলোবালিতে অ্যালার্জি থাকলে রোজ নিয়ম করে গরম দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। উপকার পাবেন।
দারচিনি: এই উপাদানটিও শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই রোজের ডায়েটে দারচিনি দেওয়া চা রাখতে পারেন। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলি দূর হবে আর অ্যালার্জির সমস্যা থেকেও রেহাই পাবেন।
বাদাম: রোজ নিয়ম করে কাজু, আখরোট, কাঠবাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। শুকনো ফল রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।