স্বাদবদলেই লুকিয়ে শরীরে পুষ্টিগুণের অভাবের ইঙ্গিত। ছবি: শাটারস্টক
মিষ্টির দোকানে সারি সারি সাজানো সন্দেশ, রসগোল্লা হোক বা ভেটকি ফ্রাই দেখলেই খিদে পায়। ২৪ ঘণ্টাই মুখ চলছে যাঁদের, শরীর তাঁদের ছেড়ে কথা বলবে না। সে কথা তাঁরাও বিলক্ষণ জানেন। তার পরেও খান, খেয়ে পরিতৃপ্ত হন। কিন্তু কারও কারও কেন সারা ক্ষণ বেশি খিদে পায়?
কেউ বলেন চোখের খিদে, কেউ বলেন তাঁরা নাকি খাদ্যরসিক। আসল কারণটা কিন্তু এ সব কিছুই নয়। কখনও কখনও সারা দিনই কোনও একটি বিশেষ স্বাদের খাবার খেতে ইচ্ছে করে। কারও ঝাল, কারও মিষ্টি, কারও আবার ভাজাভুজির প্রতি ঝোঁক বাড়ে। একটা সময়ে কোনও নির্দিষ্ট স্বাদের খাবারের প্রতি টান শরীরে কোনও নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণের অভাবও ইঙ্গিত করে।
ভাজাভুজি: হঠাৎ করে যদি ভাজাভুজির প্রতি বাড়তি আগ্রহ বাড়ে, তা শরীরে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া এই লক্ষণ শরীরে ভিটামিন এ, ডি, ই, কে-র অভাবও ইঙ্গিত করতে পারে।
চকোলেট: সারা ক্ষণ চকোলেট ইচ্ছে করছে? সে ক্ষেত্রে কিন্তু শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। চকোলেটে থাকা কোকো ম্যাগনেশিয়ামের ভাল উৎস। এ ছাড়াও চকলেটের প্রতি বাড়তি ঝোঁক শরীরে ভিটামিন বি, কপার ও ফ্যাটি অ্যাসিডের লক্ষণও হতে পারে পারে।
মিষ্টি: রসগোল্লা, লাড্ডু কিংবা গোলাপজাম দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে? কেক, পেস্ট্রি, আইসক্রিম দেখলেই নিজেকে সামলাতে পারছেন না? এটি রক্তে ক্রোমিয়াম, কার্বন, ফসফরাস, সালফার এবং ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদানের অভাবেও হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে ক্রোমিয়াম। রক্তে এই খনিজগুলির ঘাটতি হলেই মস্তিষ্ক তা পূরণ করার ইঙ্গিত দেয়, তখনই মিষ্টির প্রতি ঝোঁক বাড়ে।
নোনতা খাবার: নোনতা খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়লে বুঝতে হবে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমেছে। অনেকেই আছেন, যাঁদের একটা সময় চিজ় খেতে ইচ্ছে করে, এই লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে শরীরে ক্যালশিয়ামের অভাব হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দুধ খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
কার্বোহাইড্রেট: ভাত, রুটি, লুচি, পরোটার মতো কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার ঝোঁক বেশি থাকলে বুঝতে হবে তার সঙ্গে নাইট্রোজেনের সম্পর্ক রয়েছে। নাইট্রোজেন শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিড সিন্থেসিসে বা সংশ্লেষণে সাহায্য করে।